সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF

0
সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF
সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF

সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন

Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF

সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF : সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল।  এবার পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষায় বা একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষায় (Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF | West Bengal Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF  | WBCHSE Board Class 11th Political Science Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন  | Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF | WBCHSE Board Class 11th Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন। 

সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন/নোট (West Bengal Class 11th Political Science Question and Answer / WBCHSE Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF)

পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন (West Bengal Class 11th Political Science Suggestion PDF / Notes / Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion) সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে

সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) | Sarkarer Bibhinno Rup

MCQ প্রশ্নোত্তর | সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion : 

  1. ভারতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা সংসদের কার কাছে দায়িত্বশীল থাকে ? (A) উচ্চকক্ষের কাছে (B) ক্যাবিনেটের কাছে (C) নিম্নকক্ষের কাছে (D) পার্লামেন্টের কাছে 

Answer: (C) নিম্নকক্ষের কাছে

  1. জাপানে কীরূপ শাসন ব্যবস্থা রয়েছে ? (A) সংসদীয় (B) রাষ্ট্রপতি শাসিত (C) দ্বিকেন্দ্রিক (D) এককেন্দ্রিক 

Answer: (A) সংসদীয়

  1. অবিভাজিত সার্বভৌম ক্ষমতা কীরূপ শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য ?(A) এককেন্দ্রিক (B) দ্বিকেন্দ্রিক (C) বহুকেন্দ্রিক(D) যুক্তরাষ্ট্রীয় 

Answer: (A) এককেন্দ্রিক

  1. ভারতে বর্তমানে কেন্দ্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিষয় হলো –(A) 99(B) 61 (C) 52(D) 64 

Answer: (A) 99

  1. রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি পদচ্যুত হতে পারেন-(A) জনগণের দ্বারা(B) মহাবিচার পদ্ধতির দ্বারা (C) আইনসভার নিম্নকক্ষ দ্বারা (D) আইনসভার উচ্চকক্ষ দ্বারা 

Answer: (B) মহাবিচার পদ্ধতির দ্বারা

  1. ভারতে এযাবৎ জারি করা হয়নি— (A) রাজ্যের জরুরি অবস্থা(B) আর্থিক জরুরি অবস্থা (C) জাতীয় জরুরি অবস্থা (D) শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা 

Answer: (B) আর্থিক জরুরি অবস্থা

  1. কীরূপ শাসন ব্যবস্থাকে “ নয়াস্বৈরাচার ” বলা হয় ? (A) সামরিক বাহিনী শাসিত (B) সংসদীয় (C) রাষ্ট্রপতি শাসিত(D) মন্ত্রীপরিষদ শাসিত 

Answer: (B) সংসদীয়

  1. রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা আছে- (A) ব্রিটেনে (B) ভারতে (C) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (D) বাংলাদেশে 

Answer: (C) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে

  1. মার্কিন শাসন ব্যবস্থা হলো— (A) যুক্তরাষ্ট্রীয় (B) অযুক্তরাষ্ট্রীয় (C) আধা যুক্তরাষ্ট্রীয় (D) এককেন্দ্রিক

Answer: (A) যুক্তরাষ্ট্রীয়

  1. ভারতে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ক’টি তালিকার মাধ্যমে বণ্টিত হয়েছে— (A) দু’টি (B) তিনটি(C) চারটি(D) পাঁচটি 

Answer: (B) তিনটি

  1. ভারতে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল রয়েছে— (A) একটি (B) পাঁচটি (C) দু’টি(D) তিনটি 

Answer: (A) একটি

  1. যুক্তরাষ্ট্রে কোনটি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী ? (A) সংবিধান (B) আইনসভা (C) জাতিপুঞ্জ (D) সুপ্রিম কোর্ট 

Answer: (A) সংবিধান

  1. বর্তমান ভারতে অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা -(A) 25 (B) 26(C) 27(D) 28 

Answer: (D) 28

  1. যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের সংখ্যা হলো (A) 5(B) 4(C) 3(D) 2 

Answer: (D) 2 

  1. ভারতে কোন ধরনের সরকার বর্তমান ? (A) এককেন্দ্রিক (B) কেন্দ্রশাসিত (C) সংসদীয় (D) রাষ্ট্রপতি শাসিত 

Answer: (C) সংসদীয়

  1. এককেন্দ্রিক সরকারের অস্তিত্ব আছে— (A) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (B) ইংল্যান্ডে (C) ভারতে (D) অস্ট্রেলিয়ায় 

Answer: (B) ইংল্যান্ডে

  1. সংবিধানের যে ধারা অনুসারে ভারতে আর্থিক জরুরি অবস্থা জারি করা হয় , সেটি হলো— (A) 360(B) 352(C) 355(D) 356 

Answer: (A) 360

  1. ভারতের শাসন ব্যবস্থা—(A) যুক্তরাষ্ট্রীয় (B) এককেন্দ্রিক (C) আধা যুক্তরাষ্ট্রীয়(D) বহুকেন্দ্রিক 

Answer: (C) আধা যুক্তরাষ্ট্রীয়

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion : 

  1. রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা কাকে বলে ? রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো ।

Answer: রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা : রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় শাসন বিভাগ , আইন বিভাগের প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে সংবিধান অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা করতে সক্ষম হয় । এই ধরনের শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি গৃহীত হওয়ার ফলে আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগ স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে নিজেদের কাজকর্ম পরিচালনার সুযোগ পায় । রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার যথার্থ উদারণ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । এছাড়া ব্রাজিল , আর্জেন্টিনা , দক্ষিণ কোরিয়া , মেক্সিকো , ফিলিপিনস ইত্যাদি দেশে এই শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান । 

রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য : রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো— 

ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ : রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ । ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতি প্রয়োগের কারণেই রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার সৃষ্টি হয় । ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতি অনুসৃত হওয়ায় এই ধরনের শাসন ব্যবস্থায় শাসন বিভাগ যেমন আইন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না , তেমনি আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করেতে পারে না । রাষ্ট্রপতি বা তার মন্ত্রীসভার সদস্যরা কেউই আইনসভার অধিবেশনে হাজির থাকতে বা অইন প্রণয়নে অংশ নিতে পারেন না । অন্যদিকে আইন বিভাগও তেমনি রাষ্ট্রপতি বা তাঁর মন্ত্রীসভার সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে ।

রাষ্ট্রপতি প্রকৃত শাসক প্রধান : রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি হলেন সমগ্র রাষ্ট্রের প্রধান এবং একই সঙ্গে তিনি শাসন বিভাগেরও প্রধান অধ্যাপক অ্যালান বলের বক্তব্য অনুযায়ী , রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের সাধারণ ও রাজনৈতিক প্রধান । তত্ত্বগতভাবে ও বাস্তবে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি প্রভূত ক্ষমতার অধিকারী । তাই রাষ্ট্রপতিকে প্রকৃত শাসক প্রধান বলা হয় । 

জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা : রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হন । তিনি আইনসভার দ্বারা মনোনীত বা নির্বাচিত হন না । এই কারণে রাষ্ট্রপতি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন । আইনসভার কাছে নয় । 

ক্ষমতাহীন মন্ত্রীসভা : রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় মন্ত্রীসভা কার্যত ক্ষমতাহীন । রাষ্ট্রপতি মন্ত্রীসভার সদস্যদের মনোনয়ন ও নিয়োগ করেন । মন্ত্রীসভার সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সহকর্মী নন । তারা রাষ্ট্রপতির অধস্তন কর্মচারী মাত্র । রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টির ওপর মন্ত্রীদের কার্যকাল নির্ভর করে । মন্ত্রীসভার সদস্যদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আলোচনা বা পরামর্শ করলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে তিনি একক ক্ষমতার অধিকারী । 

দলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সম্পর্কহীন : আইনসভায় দলীয় সংখ্যা্যগরিষ্ঠতার সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কোনো সম্পর্ক নেই । রাষ্ট্রপতি যে রাজনৈতিক দলের সদস্য সেই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আইনসভায় থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে । রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও আইনসভার নির্বাচন আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হয় । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটা বহুবার দেখা গেছে রাষ্ট্রপতি যে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সেই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা মার্কিন কংগ্রেসে নেই । 

রাষ্ট্রপতিনিরপেক্ষ আইনসভা : রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতিনিরপেক্ষ আইনসভার অস্তিত্ব লক্ষ করা যায় । আইনসভার নির্বাচনের জন্য নির্দেশ দেওয়া অথবা আইনসভা ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করা ইত্যাদি ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির কোনো ক্ষমতা নেই । রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় আইনসভা আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সার্বিক ক্ষমতা ভোগ করে থাকে । 

 নির্বাচিত শাসক প্রধান : রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় শাসন বিভাগের প্রধান রূপে রাষ্ট্রপতি একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন । উত্তরাধিকার সূত্রে বা অন্য কোনোভাবে তিনি পদে আসীন হন না । 

আইনসভার নিয়ন্ত্রণহীনতা : রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় শাসন বিভাগের ওপর আইনসভার কোনো নিয়ন্ত্রণ পরিলক্ষিত হয় না । এখানে রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সম্পাদিত কোনো কাজের জন্য আইনসভার কাছে জবাবদিহি করতে হয় না । রাষ্ট্রপতির দায়বদ্ধতা একমাত্র জনগণের কাছে । 

রাষ্ট্রপতির কার্যকালের স্থায়িত্ব : এই ধরনের শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির কার্যকাল সংবিধান কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকে । যেমন — মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি চার বছরের কার্যকালে নির্বাচিত হন । নির্দিষ্ট এই কার্যকালের আগে রাষ্ট্রপতিকে সহজে পদচ্যুত করা যায় না । কেবলমাত্র রাষ্ট্রদ্রোহিতা , সংবিধান ভঙ্গ , অসদাচরণ বা দুর্নীতি ইত্যাদির মতো গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হলে ‘ ইমপিচমেন্ট ’ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতিকে তার পদ থেকে অপসারণ করা যায় ।

  1. রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের গুণ দোষ বা সুবিধা – অসুবিধা বিশ্লেষণ করো । 

Answer: রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের গুণ বা সুবিধা :  রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের যেসব গুণ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

1)আইনসভার আস্থা বা অনাস্থার ওপর রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের অস্তিত্ব নির্ভর করে না । নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এই ধরনের সরকারের পতনের আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে । এর ফলে সরকারের স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত হয় । 

2) রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় সরকারের স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত থাকে বলে রাষ্ট্রপতির পক্ষে নির্বিঘ্নে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পালন করা সম্ভব হয় । 

3) প্রশাসনের সর্বময় কর্তৃত্ব রাষ্ট্রপতির হাতে থাকে বলে তিনি নিজে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা কার্যকর করতে পারেন । তাই দেশে যখন অভ্যন্তরীণ গলোযোগ বা গৃহযুদ্ধ প্রভৃতি সংকটময় পরিস্থিতি দেখা দিলে রাষ্ট্রপতি তৎপরতার সাথে তার মোকাবিলা করতে পারে। 

4) রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণের নীতি বলবৎ থাকায় আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগ সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পায় । ফলে শাসন ব্যবস্থায় অযথা জটিলতার সৃষ্টি হয় না । 

5) রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার সংকীর্ণ দলব্যবস্থার কুফল থেকে মুক্ত । কারণ রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের স্থায়িত্ব আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল নয় । 

6) এই ধরনের সরকারে দলমত নির্বিশেষে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ করার সুযোগ পাওয়া যায় । রাষ্ট্রপতি তার পছন্দ মতো , এমনকী নিজের দলের বাইরে থেকেও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করে থাকেন । 

7) রাষ্ট্রপতি শাসিত প্রশাসনের সরাকারের বিভিন্ন ক্ষমতা ও দায়িত্বের এলাকা সুনির্দিষ্ট থাকায় প্রতিটি বিভাগ নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারে । তাছাড়া এই ধরনের শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি প্রত্যক্ষভাবে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন বলে । তাঁর পক্ষে কোনো জনবিরোধী কাজকর্ম করা সম্ভব হয় না । 

8) ব্রাইসের মতে , সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার তুলনায় রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় আইনসভায় দলীয় মানসিকতার প্রভাব অপেক্ষাকৃত কম । বিশেষজ্ঞদের মতে , এই কারণে আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হওয়া সম্ভব হয় । 

রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের দোষ বা অসুবিধা : রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের প্রধান ত্রুটিগুলি হলো— 

1) রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগ পরস্পর স্বাধীনভাবে কাজ করায় উভয়ের মধ্যে সুষ্ঠু সহযোগিতা গড়ে ওঠে না । শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগের মধ্যে আধিপত্য কায়েম নিয়ে একটা রেষারেষি লক্ষ করা যায় । আবার অধ্যাপক গেটেলের মতে , যখন আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগ ভিন্ন ভিন্ন দলের অধীনে থাকে , তখন প্রশাসনিক সংকটের আশঙ্কা দেখা দেয় । 

2) এই শাসন ব্যবস্থায় সরকারের সমগ্র ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে থাকে । এই ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি আইনসভার নেই । কারণ রাষ্ট্রপতি আইনসভার কাছে দায়বদ্ধ নন । তিনি সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীনভাবে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করার অধিকারী । তাছাড়া নির্দিষ্ট কার্যকাল শেষ হওয়ার পূর্বে রাষ্ট্রপতিকে সহজে পদচ্যুত করা যায় না । সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি রাষ্ট্রপতি নিজেই নিয়ে থাকেন । এই ব্যবস্থা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক । 

3) রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার বাস্তবে একপ্রকার দায়িত্বহীন সরকার । আইনসভায় রাষ্ট্রপতির কোনোরকম দায়দায়িত্ব না থাকায় তাঁকে জনপ্রতিনিধিদের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না । এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে বাধ্য করা যায় না । 

4) এই শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ সত্ত্বেও বিভিন্ন বিভাগের ক্ষমতার পরিধির ব্যাখ্যা এবং কাজকর্মের বৈধতা বিচারের দায়িত্ব বিচার বিভাগের ওপর ন্যস্ত থকে । সংবিধান অনুসারে এই ক্ষমতা ব্যবহার করার অধিকারী হওয়ায় বিচারবিভাগ সরকারি প্রশাসন ও আইন বিভাগের ওপর অত্যধিক প্রাধান্য বজায় রাখার সুযোগ পায় । 

5) রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় জনগণের সঙ্গে সরকারের কোনো প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপিত না হওয়ায় গণমাধ্যমগুলির সাহায্যে পরোক্ষভাবে এই কাজ করতে হয় । এতে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন নাও ঘটতে পারে । 

উপসংহার : রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার গুণ দোষ বিশ্লেষণ করে পরিশেষে বলা যায় , এই ধরনের শাসন ব্যবস্থার সাফল্য ও ব্যর্থতা রাষ্ট্রপতি পদাধিকারী ব্যক্তির বিচক্ষণতা , দক্ষতা ও দূরদর্শিতার ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল ।

  1. এককেন্দ্রিক সরকার কাকে বলে ? এককেন্দ্রিক সরকারের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো । 

Answer: এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা হলো এমন এক শাসন ব্যবস্থা যেখানে সরকারি ক্ষমতা একটিমাত্র কর্তৃপক্ষ বা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে অর্পিত থাকে । এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার উদাহরণস্বরূপ গ্রেট ব্রিটেন , ফ্রান্স , নিউজিল্যান্ড , ইতালি , চিন , জাপান প্রভৃতি দেশের কথা উল্লেখ করা যায় । 

 এককেন্দ্রিক সরকারের বৈশিষ্ট্য : এককেন্দ্রিক সরকারের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলি হলো— কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাধান্য এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সরকারের চূড়ান্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকায় সমগ্র দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয় । অবশ্য প্রশাসনের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি আঞ্চলিক সরকার ও আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গঠন করতে পারে । এইসব সরকারের স্বাধীন অস্তিত্ব বলে কিছু থাকে না । কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজন হলে এদের ক্ষমতা হ্রাস , বৃদ্ধি , এমনকী বিলুপ্তিও ঘটাতে সক্ষম । স্থানীয় সরকারগুলির প্রধান কাজ হলো কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করা । 

সুপরিবর্তনীয় সংবিধান : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধান সুপরিবর্তনীয় হয়ে থাকে । এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইনসভা শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করতে পারে । এজন্য কোনো বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বনের দরকার পড়ে না । 

কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রাধান্য : অধ্যাপক ডাইসির মতে , কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রাধান্য এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য । কেন্দ্রীয় আইনসভা এই শাসনব্যবস্থার সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী । যেকোনো ধরনের আইন প্রণয়ন এবং প্রচলিত আইন সংশোধন বা বাতিল করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় আইনসভা ভোগ করে থাকে । বস্তুতপক্ষে , এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধানের প্রাধান্যের পরিবর্তে আইনসভার প্রাধান্য বজায় থাকে । কেন্দ্রীয় আইনসভা প্রয়োজন হলে সংবিধানের যেকোনো ধরনের রদবদল করতে পারে । 

 ক্ষমতাকেন্দ্রীকরণ : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ঘটে । কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই যাবতীয় ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে । 

লিখিত বা অলিখিত সংবিধান : এককেন্দ্রিক সরকারের সংবিধান লিখিত বা অলিখিত দুই – ই হতে পারে যেমন — ব্রিটেনের সংবিধান মূলত অলিখিত । অন্যদিকে ফ্রান্স , চিন ও নিউজিল্যান্ডের সংবিধান লিখিত । : 

বিচার বিভাগের গুরুত্বহীনতা : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধানের প্রাধান্য না থাকায় বিচারবিভাগ এখানে দুর্বল । সংবিধানের অভিভাবক এবং ব্যাখ্যাকর্তা হিসাবে বিচারবিভাগের গুরুত্ব এখানে অস্বীকৃত । প্রকৃতপক্ষে আইনবিভাগের প্রাধান্য মেনে নিয়েই এখানে বিচারবিভাগ কাজ করে থাকে । 

 একনাগরিকত্বের স্বীকৃতি : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় একনাগরিকত্বের নীতি অনুসৃত হয় । গ্রেট ব্রিটেন , ফ্রান্স , নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি দেশে আঞ্চলিক সরকারগুলির অধীন অধিবাসীদের জন্য আলাদা কোনো নাগরিকত্বের ব্যবস্থা নেই । 

 সার্বভৌম ক্ষমতার অবস্থান সুস্পষ্ট : এককেন্দ্রিক সরকারে সার্বভৌমিকতার অবস্থান সুস্পষ্ট । এখানে কেন্দ্রীয় সরকার এককভাবে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী । কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই । আঞ্চলিক সরকার বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলি প্রশাসনে যুক্ত থাকলেও , সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধিকারী হতে পারে না । 

  1. যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো ।

Answer: ক্ষমতাবিকেন্দ্রীকরণ নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের উদ্ভব ঘটে । অধ্যাপক কে . সি . হোয়ার এর মতে , যুক্তরাষ্ট্র বলতে সেই শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে সংবিধান কর্তৃক কেন্দ্রীয় সরকার ও আঞ্চলিক সরকারগুলির মধ্যে এমনভাবে ক্ষমতাবণ্টন করা হয় যাতে উভয় সরকার নিজ নিজ প্রশাসনিক এলাকায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে । 

  এক বিশেষ ধরনের শাসন ব্যবস্থা হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে । সেই বৈশিষ্ট্যগুলি হলো— 

 দুই ধরনের সরকারের উপস্থিতি : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক এই দুই ধরনের সরকারের সহাবস্থান লক্ষ করা যায় । সমগ্র দেশের শাসনকাজ পরিচালনার দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রীয় সরকারে হাতে । অন্যদিকে , বিভিন্ন অঞ্চলের শাসনের দায়িত্ব থাকে বিভিন্ন আঞ্চলিক বা অঙ্গরাজ্যের সরকারের হাতে । 

 ক্ষমতাবণ্টন : ক্ষমতাবণ্টন যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার অন্যতম অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য । এখানে লিখিত সংবিধানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলির মধ্যে শাসনক্ষমতা সুনির্দিষ্টভাবে ভাগ করে দেওয়া হয় । কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক উভয় সরকারই এখানে মৌলিক ক্ষমতার অধিকারী । 

লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান : কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলির মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষমতা বণ্টনের প্রশ্ন থাকায় যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধানকে অবশ্যই লিখিত হতে হয় । লিখিত সংবিধানে উভয় সরকারের ক্ষমতাসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখিত থাকায় উভয় সরকারই নিজ নিজ এলকায় কারও হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে । 

 সংবিধানের প্রাধান্য : সংবিধানকে দেশের সর্বোচ্চ মৌলিক আইনের স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সংবিধানের প্রাধান্য স্বীকার করা হয় । এখানে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক উভয় সরকারই সংবিধান অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা করতে বাধ্য থাকে । সংবিধান এখানে সমস্ত ক্ষমতার উৎস । 

 যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত : সংবিধানের অভিভাবক ও চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকর্তা হিসা  েএকটি স্বঅধীন ও নিরপেক্ষ যুক্তরা , ট্রীয় আদালতের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য । কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলির মধ্যে ক্ষমতা সম্পর্কিত বিষয়ে সৃষ্ট যেকোেনা বিরোধের চূড়ান্ত মীমাংসা কর্তা হলো এই আদালত । 

 দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার আর একটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা । আইনসভার নিম্নকক্ষ হলো জনপ্রতিনিধিত্বমূলক কক্ষ , আর উচ্চ কক্ষ হলো অঙ্গরাজ্যগুলির প্রতিনিধিত্বমূলক কক্ষ । 

স্বতন্ত্র রাজস্ব ব্যবস্থা : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক উভয় সরকারের পর্যাপ্ত আর্থিক সংগতি থাকা আবশ্যক । নতুবা কোনো সরকারের পক্ষেই সুষ্ঠুভাবে দায়দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয় না । সেজন্য কেন্দ্র রাজ্য স্বতন্ত্র রাজস্ব ব্যবস্থার উল্লেখ যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য । 

স্বতন্ত্র সংবিধান : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় অঙ্গরাজ্যগুলির জন্য পৃথক সংবিধানের অস্তিত্ত্বকে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয় । উদাহরণস্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 50 টি অঙ্গরাজ্যের জন্য 50 টি স্বতন্ত্র সংবিধান আছে । 

দ্বৈত নাগরিকতা : বিশ্বের কোনো কোনো যুক্তরাষ্ট্রে দ্বৈত নাগরিকতা স্বীকৃত হতে দেখা যায় ৷ দ্বৈত নাগরিকতা বলতে একই সঙ্গে সমগ্র দেশের ও নিজ নিজ রাজ্যের নাগরিকত্ব বোঝায় । অবশ্য দ্বৈত নাগরিকত্বকে অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য বলে স্বকার করা হয় না । 

  1. এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্যগুলি নির্দেশ করো । 

Answer: ক্ষমতাবণ্টনের নীতির ভিত্তিতে সরকার বা শাসন ব্যবস্থাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় । যে রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা একটিমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয় তাকে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা বলে । অন্যদিকে যে শাসন ব্যবস্থায় সংবিধান কর্তৃক বণ্টিত ক্ষমতার মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়ই নিজ নিজ প্রশাসনিক এলাকায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম , তাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা বলে । এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার পার্থক্যগুলি হলো— 

 সরকারের গঠনগত পার্থক্য : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার শীর্ষে থাকে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় সরকার । কোনো কোনো ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সরকারের অস্তিত্ত্ব থাকলেও তাদের তেমন কোনো স্বাতন্ত্র্যতা থাকে না । কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যগুলির জন্য দু’ধরনের সরকার থাকে । 

ক্ষমতাবণ্টনগত পার্থক্য : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় লিখিত সংবিধানের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যগুলির মধ্যে ক্ষমতাবণ্টন করা হয় । কিন্তু এককেন্দ্রিক সরকারে এই ধরনের জাতীয় বা আঞ্চলিক সব ক্ষমতাই কেন্দ্রীভূত থাকে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে । 

 সংবিধানের প্রকৃতিগত পার্থক্য : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় সংবিধান লিখিত হয়ে থাকে এবং সংবিধানের প্রাধান্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় । সংবিধানবিরোধী কোনো আইন , আদেশ বা নির্দেশ , কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি প্রণয়ন করতে পারে না । অন্যদিকে এককেন্দ্রিক সরকারে সংবিধানের প্রাধান্য স্বীকার করা হয় না । এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধানের প্রাধান্য স্বীকৃত না হওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বৈরাচারী হওয়ায় যথেষ্ট সুযোগ থাকে বলে অনেকে মনে করেন ।  

 বিচার বিভাগের ক্ষমতাগত পার্থক্য : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো স্বাধীন ও নিরপেক্ষ যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের অস্তিত্ব । সংবিধানের ব্যাখ্যাকর্তা ও অভিভাবক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । অন্যদিকে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় বিচার বিভাগ অত্যন্ত দুর্বল হয় । এই ধরনের শাসন ব্যবস্থায় সংবিধানের ব্যাখ্যাকর্তা ও রক্ষাকর্তা হিসাবে আদালতের কোনো গুরুত্বই থাকে না। 

 নাগরিকত্বজনিত পার্থক্য : এককেন্দ্রিক প্রশাসনে কোনো দ্বৈত নাগরিকত্বের ব্যবস্থা থাকে না । একনাগরিকত্বের নীতি অনুসৃত হয় । জনগণের আনুগত্য শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি থাকে । কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারে দ্বৈত নাগরিকত্ব দেখা যায় , এখানে জনগণের আনুগত্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে বিভক্ত থাকে । 

 সংবিধানের অস্তিত্ব : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় অনেক ক্ষেত্রে অঙ্গরাজ্যগুলির জন্য স্বতন্ত্র সংবিধানের অস্তিত্ব থাকে । এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রে যেসব আঞ্চলিক সরকার থাকে তাদের কোনো স্বতন্ত্র সংবিধান থাকে না। 

সংবিধান সংশোধন : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধান লিখিত বা অলিখিত যা – ই হোক না কেন তা কিন্তু সুপরিবর্তনীয় । এই ধরনের সংবিধানকে সাধারণ আইন প্রণয়নের পদ্ধতিতে খুব সহজেই পরিবর্তন করা যায় । অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় সংবিধান প্রকৃতপক্ষে দুষ্পরিবর্তনীয় হয়ে থাকে । 

আইন ও প্রশাসনিক কাঠামো : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় একটিমাত্র আইনসভা ও প্রশাসনিক কাঠামো থেকে সমগ্র দেশের জন্য একই আইন প্রণয়ন করা হয় । অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় আইনসভার পাশাপাশি অঙ্গরাজ্যগুলির জন্য পৃথকভাবে আইনসভা থাকায় সমগ্র দেশে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে দুই ধরনের আইন প্রণয়ন করা হয় ।

 সিদ্ধান্ত গ্রহণজনিত পার্থক্য : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সর্বময় কর্তৃত্বসম্পন্ন কেন্দ্রীয় সরকার যেকোনো বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম । কিন্তু একাধিক স্বতন্ত্র সরকারবিশিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রে তা সম্ভব নয় । 

জাতীয় সংহতি : এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সমগ্র দেশের জন্য একটিমাত্র জাতীয় সরকারের অস্তিত্ব থাকায় এখানে জাতীয় ঐক্যের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটে । কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির পৃথক সরকার থাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ ও প্রাদেশিক মনোভাব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে । 

উপসংহার : বর্তমানে কেন্দ্রীয় প্রবণতা বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় মৌল কাঠামোর রূপান্তর ঘটছে । ফলে নতুনভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় ও এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার মধ্যে মৌলিক পার্থক্যের উদ্ভব ঘটেছে । দু’ধরনের সরকারের মধ্যে পার্থক্যের রূপরেখারও পরিবর্তিত হয়েছে । 

একাদশ শ্রেণীর সাজেশন ২০২৪ – Class 11 Suggestion 2024

আরোও দেখুন:-

Class 11 Bengali Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 English Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Geography Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 History Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Political Science Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Philosophy Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Sociology Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Sanskrit Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Education Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Physics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Chemistry Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Biology Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Mathematics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Suggestion 2024 Click here

পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির  রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। West Bengal Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion Download. WBCHSE Class 11 short question suggestion. WB Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF download. Class 11 Question Paper  Political Science. WB Class 11th Political Science suggestion and important questions. Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF.

Get the WBCHSE Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF by winexam.in

 West Bengal WB Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF  prepared by expert subject teachers. WB Class 11th  Political Science Suggestion with 100% Common in the Examination.

Class 11th Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion

West Bengal Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion Download. WBCHSE Class 11 Sarkarer Bibhinno Rup short question suggestion. WB Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF  download. Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Question Paper.

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর |  WB Class 11th Political Science  Suggestion

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup) সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর। একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর |  WB Class 11th Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion

সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | West Bengal Class Eleven Political Science Suggestion

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির বোর্ডের (WBCHSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী  একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | West Bengal Class Eleven Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion । রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন আমাদের একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন বই ।

সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | West Bengal Class 11th Suggestion

আমরা WBCHSE একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | West Bengal Class 11th Suggestion আলোচনা করেছি। আপনারা যারা এবছর একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা  তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) | Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion with FREE PDF Download

Political Science Class XI, Political Science Class Eleven, WBCHSE, syllabus, একাদশ শ্রেণি রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ক্লাস টোয়েলভ রাষ্ট্রবিজ্ঞান, একাদশ শ্রেণিরের রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান একাদশ শ্রেণির – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়), একাদশ শ্রেণী – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়), একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়), ক্লাস টেন সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়), Class 11 – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়), Class 11th সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়), Class XI সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়), ইংলিশ, একাদশ শ্রেণির ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Class 11 Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion, Class 11th Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion , Class 11 Suggestion , West Bengal Class 11 Board exam suggestion, West Bengal Class Eleven Board exam suggestion , WBCHSE , সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির সাজেশান, একাদশ শ্রেণির সাজেশান – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) , একাদশ শ্রেণির সাজেশান – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) , একাদশ শ্রেণির সাজেশন সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়), একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশান ,  একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশান , একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান , সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Class 11 Suggestion Political Science , একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF, একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) সাজেশন | একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF,একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF, Class 11 Suggestion PDF ,  West Bengal Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF.

FILE INFO : WB Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF Download for FREE | একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন বিনামূল্যে ডাউনলোড করুণ | সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর, ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নউত্তর

PDF Name : সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF

Price : FREE

Download Link1 : Click Here To Download

Download Link2 : Click Here To Download

Download Link3 : Click Here To Download

সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF

  এই ” সরকারের বিভিন্ন রূপ (ষষ্ঠ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | WB Class 11 Political Science Sarkarer Bibhinno Rup Suggestion PDF ” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here