আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন
Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF
আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF : আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষায় বা একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষায় (Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF | West Bengal Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF | WBCHSE Board Class 11th Political Science Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF | WBCHSE Board Class 11th Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন।
আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন/নোট (West Bengal Class 11th Political Science Question and Answer / WBCHSE Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF)
পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন (West Bengal Class 11th Political Science Suggestion PDF / Notes / Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion) আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে।
আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) | Adhunik Rajnitik Moulik Dharona
MCQ প্রশ্নোত্তর | আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion :
- স্বাভাবিক স্বাধীনতার ধারণার প্রবক্তা হলেন— (A) লক (B) রুশো (C) হবস(D) মস্তেস্কু
Answer: (B) রুশো
- স্বাভাবিক অসাম্য তত্ত্বের সমালোচনা করেছিলেন— (A) সমাজতান্ত্রিক সমাজবাদীরা (B) স্টোয়িক দার্শনিকরা (C) কাল্পনিক সমাজতন্ত্রবাদীরা (D) ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদীরা
Answer: (B) স্টোয়িক দার্শনিকরা
- “ স্বাধীনতা হলো ব্যক্তি ও জাতির জন্মগত অধিকার ” , বলেছেন—(A) জন স্টুয়ার্ট মিল (B) বেন্থাম (C) অস্টিন(D) জন মিলটন
Answer: (D) জন মিলটন
- ‘ রিপাবলিক ‘ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন— (A) প্লেটো (B) বোঁদা (C) অ্যারিস্টটল(D) মিল
Answer: (C) অ্যারিস্টটল
- “ আইন হলো সামাজিক যুক্তির প্রকাশ ” , মন্তব্যটি করেন—(A) প্লেটো (B) অস্টিন (C) মিল (D) অ্যারিস্টটল
Answer: (D) অ্যারিস্টটল
- “ আইন হলো প্রতিপত্তিশালী শ্রেণির ইচ্ছার প্রকাশ ” , বলেছেন–(A) ভিশিন্স্কি (B) নোজিক (C) হাইমার (D) রাফায়েল
Answer: (A) ভিশিন্স্কি
- ‘ ইউটোপিয়া ‘ গ্রন্থের লেখক – (A) টমাস ম্যুর(B) রুশো(C) অ্যারিস্টটল(D) মিল
Answer: (A) টমাস ম্যুর
- স্বাধীনতার শর্ত হলো— (A) সাম্য (B) আইন(C) ধর্ম (D) নৈতিকতা
Answer: (D) নৈতিকতা
- আইন কয় প্রকার ?(A) এক প্রকার (B) দুই প্রকার(C) তিন প্রকার(D) চার প্রকার
Answer: (B) দুই প্রকার
- “ ন্যায্যতাই ন্যায় ” , বলেছেন— (A) রল্স (B) বার্কার (C) নোজিক(D) অস্টিন
Answer: (B) বার্কার
- পদ্ধতিগত ন্যায়ের তত্ত্ব প্রচার করেছেন— (A) বার্কার (B) নোজিক (C) রল্স (D) রাফায়েল
Answer: (B) নোজিক
- “ সাম্যের ধারণা একটি পরিবর্তনশীল ধারণা ” , বলেছেন– (A) বার্কার (B) মিল (C) ল্যাস্কি (D) অস্টিন
Answer: (A) বার্কার
- আইনকে যিনি প্রথম নৈতিকতা থেকে আলাদা করে বিচার করেন–(A) ম্যাকিয়াভেলি (B) জে . এস . মিল (C) টকভিল(D) উইলসন
Answer: (A) ম্যাকিয়াভেলি
- আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ ঘটেছিল— (A) 1776 সালে (B) 1775 সালে (C) 1876 সালে (D) 1878 সালে
Answer: (A) 1776 সালে
- ন্যায়বিচারকে প্রতিষ্ঠা করে— (A) রীতিনীতি (B) আইন (C) কর্তব্য(D) প্রথা
Answer: (B) আইন
- সাম্য ও স্বাধীনতা পরস্পরের – (A) পরিপন্থী (B) সমধর্মী (C) বিপরীতধর্মী(D) পরিপূরক
Answer: (D) পরিপূরক
- সার্বভৌম কর্তৃত্ব -কে কার্যকর করে— (A) নৈতিকতা (B) আইন(C) স্বাধীনতা(D) সাম্য
Answer: (B) আইন
- সাম্য ও স্বাধীনতাকে পরস্পরের পরিপূরক বলে বর্ণনা করেন—(A) মার্কস (B) হবহাউস (C) গ্রিন (D) জন স্টুয়ার্ট মিল
Answer: (D) জন স্টুয়ার্ট মিল
- “ অর্থনৈতিক গণতন্ত্র ছাড়া রাজনৈতিক গণতন্ত্র অর্থহীন । ” উক্তিটি করেন- (A) হ্যারল্ড ল্যাস্কি (B) লর্ড ব্রাইস(C) বার্কার কার্ল(D) মার্কস ডাইসি
Answer: (A) হ্যারল্ড ল্যাস্কি
- “ ন্যায় হলো একটি সামাজিক বাস্তবতা । ” বলেছেন— (A) হ্যারল্ড পটার (B) বার্কার (C) স্পেনসার(D) হায়েক
Answer: (B) বার্কার
- স্বাধীনতাকে ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে অধিকারকে প্রাধান্য দেননি—(A) মস্তেস্কু (B) হবস (C) বার্কার (D) ডাইসি
Answer: (B) হবস
- ভারতের সংবিধানে আইনের চোখে সমতা সুরক্ষিত হয়েছে— ? (A) 14(B) 19(C) 15(D) 13 – নং ধারায়
Answer: (A) 14
- “ গণতন্ত্রকে স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধী ” বলে মনে করতেন– (A) লেকি (B) নসার(C) হায়েক(D) বার্কার
Answer: (A) লেকি
- ‘ City of the Sun’– এর রচয়িতা হলেন (A) অ্যারিস্টটল (B) মার্কস (C) জন অস্টিন (D) কাম্পানেল্লা
Answer: (D) কাম্পানেল্লা
- A Grammer of Politics ‘ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন— (A) হ্যারল্ড ল্যাস্কি(B) টমাস ম্যুর (C) বেন্থাম (D) রুশো
Answer: (A) হ্যারল্ড ল্যাস্কি
- রাষ্ট্রীয় আইনকে ‘ ব্যক্তিনিরপেক্ষ ‘ হিসাবে দেখেছেন— (A) হেগেল (B) কান্ট (C) বোঁদা (D) মস্তেস্কু
Answer: (A) হেগেল
- আদর্শবাদী চিন্তাবিদরা যে স্বাধীনতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন , সেটি হলো— (A) আর্থিক স্বাধীনতা (B) সামাজিক স্বাধীনতা (C) ধর্মীয় স্বাধীনতা (D) নৈতিক স্বাধীনতা
Answer: (D) নৈতিক স্বাধীনতা
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion :
- স্বাধীনতার সংজ্ঞা ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ করো । Answer: স্বাধীনতার সংজ্ঞা : স্বাধীনতা বা Liberty ‘ শব্দটি লাতিন শব্দ ‘ Liber ‘ থেকে এসেছে । ‘ Liber ‘ শব্দটির অর্থ হলো স্বাধীনতা । সাধারণ অর্থে স্বাধীনতা বলতে বোঝায় নিজের ইচ্ছামতো কাজ করার অধিকারকে । কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্বাধীনতা শব্দটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয় । অবাধ , নিয়ন্ত্রণহীন , সীমাহীন স্বাধীনতা হলো স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্বাধীনতার সংজ্ঞা ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেওয়া হয়েছে । অধ্যাপক ল্যাস্কির মতে , স্বাধীনতা হলো এমন এক পরিবেশ সংরক্ষণ যেখানে মানুষের অন্তর্নিহিত ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ সম্ভব । বার্কারের মতে , রাষ্ট্রীয় বা আইনসংগত স্বাধীনতা হলো সকলের জন্য শর্তসাপেক্ষ স্বাধীনতা । মার্কবাদীদের মতে , মানুষের যোগ্যতা ও সামর্থের সর্বাঙ্গীণ বিকাশকে স্বাধীনতা বলে অভিহিত করা যায় ৷
স্বাধীনতার প্রকৃতি : রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় স্বাধীনতার প্রকৃতিকে তিনটি দিক থেকে বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে । সেগুলি হলো— নেতিবাচক স্বাধীনতা , ও ইতিবাচক স্বাধীনতা এবং মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বাধীনতা । বিষয় তিনটি নিম্নে আলোচনা করা হলো
নেতিবাচক স্বাধীনতা : স্বাধীনতার প্রকৃতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা নেতিবাচক ও ইতিবাচক এই দু’টি দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছেন । নেতিবাচক স্বাধীনতার প্রবক্তা হলেন জেরেমি বেন্থাম , অ্যাডাম স্মিথ , জন স্টুয়ার্ট মিল , হার্বার্ট স্পেনসার , হস , লক প্রমুখ । এছাড়াও বারলিন , হায়েক , নোজিকের মতো একালের উদারনীতিবাদী তাত্ত্বিকেরাও রয়েছেন । ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী উদারনৈতিক রাষ্ট্রদর্শনের প্রবক্তারা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কায় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণকে ন্যূনতম রাখার পক্ষে রায় দেন । তাঁদের মতে , রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পেলে ব্যক্তির স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা দেখা যায় । ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা মনে করেন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য বাইরের কোনো নির্দেশ বা হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই । জন স্টুয়ার্ট মিলের মতে , ব্যক্তি তার নিজের ওপরে , তার শরীর – মনের ওপরে সার্বভৌম । এইভাবে নেতিবাচক অর্থে স্বাধীনতার প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা হয় ।
ইতিবাচক স্বাধীনতা : স্বাধীনতার ইতিবাচক প্রকৃতিকে যারা বিশ্লেষণ করেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— হেগেল , গ্রিন , হবহাউস , ল্যাস্কি , বার্কার প্রমুখ । ইতিবাচক স্বাধীনতার প্রবক্তারা ব্যক্তিস্বাধীনতার স্বার্থে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন । তাঁদের মতে , ব্যক্তি যে স্বাধীনতা ভোগ করে তা একমাত্র রাষ্ট্রের সহায়তায় সম্ভব । স্বাধীনতা ভোগ করার জন্য যে উপযুক্ত পরিবেশ দরকার তা একমাত্র রাষ্ট্রই গড়ে তুলতে পারে । হেগেলের মতে , রাষ্ট্র ছাড়া স্বাধীনতা কল্পনা করা যায় না । রাষ্ট্রের প্রতি দ্বিধাহীন আনুগত্য প্রদর্শন করে ব্যক্তি তার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে । ফরাসি দার্শনিক রুশোর বক্তব্য হলো — সমস্ত মানুষের প্রকৃত ইচ্ছাকে নিয়ে গঠিত ‘ সাধারণ ইচ্ছা’র অনুগামী হলেই ব্যক্তি তার স্বাধীনতা ভোগ করার সুযোগ পেতে পারে । এইভাবে রাষ্ট্রীয় সহায়তায় ব্যক্তি যে স্বাধীনতা ভোগ করে তাকে ইতিবাচক স্বাধীনতা বলে অভিহিত করা হয় ।
মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বাধীনতা : মার্কসীয় মতবাদে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বাধীনতার প্রকৃতিকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে । স্বাধীনতার নেতিবাচক , অর্থাৎ ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী ধারণার বিরোধিতা করে মার্কসীয় মতবাদে বলা হয় , সমস্তরকম আর্থিক শোষণের অবসান না ঘটলে মানুষের সামাজিক মুক্তি ঘটা সম্ভব নয় । একমাত্র পুঁজিবাদী শোষণের অবসান ঘটলেই প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব ।
উপসংহার : স্বাধীনতার সংজ্ঞা ও প্রকৃতিকে কখনোই সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে সীমায়িত করা যায় না । তবে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় , স্বাধীনতার ধারণা মানুষকে যুগ যুগ ধরে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে ।
- স্বাধীনতার বিভিন্ন রূপ বিশ্লেষণ করো ।
Answer: স্বাধীনতার আলোচনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এর বিভিন্ন রূপ নির্দেশ করেছেন । মোটামুটিভাবে স্বাধীনতার যে রূপগুলি বিশেষ উল্লেখযোগ্য সেগুলি হলো —
স্বাভাবিক স্বাধীনতা, সামাজিক স্বাধীনতা , সম্প্রদায়গত স্বাধীনতা , নৈতিক স্বাধীনতা , জাতীয় স্বাধীনতা এবং আইনসংগত স্বাধীনতা ।
স্বাভাবিক স্বাধীনতা : সামাজিক চুক্তি মতবাদ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রুশো বলেছেন , মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন কিন্তু সর্বত্রই সে শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে যে স্বাধীনতা বিরাজ করত তা ছিল স্বাভাবিক স্বাধীনতা।
সামাজিক স্বাধীনতা : সামাজিক রীতিনীতি , ঐতিহ্য , নৈতিকতার দ্বারা সংরক্ষিত স্বাধীনতাকে সামাজিক স্বাধীনতা বলা হয় । তবে সামাজিক স্বাধীনতার ধরন এক সমাজ থেকে অন্য সমাজে পরিবর্তিত হয় । অনেক সময় সামাজিক স্বাধীনতা অমানবিক স্বাধীনতায় পর্যবসিত হয়েছে । যেমন — হিন্দুসমাজের সতীদাহপ্রথা , প্রাচীন গ্রিসের দাসপ্রথা প্রভৃতি ।
সম্প্রদায়গত স্বাধীনতা : প্রাচীন গ্রিসের স্বাধীনতার ধারণাকে সম্প্রদায়গত স্বাধীনতার অ্যাখ্যা দেওয়া হয় । গ্রিকরা ব্যক্তিগত জীবনের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তির আস্বাদ পেতে নিজেদের সম্প্রদায় দ্বারা নিজেরাই শাসিত হতে চাইত । অনেকে মনে করেন , এর থেকেই আধুনিক কালের জাতীয় স্বাধীনতার ধারণা সৃষ্টি হয় ।
নৈতিক স্বাধীনতা : যে স্বাধীনতা ব্যক্তির নীতিবোধ ও নৈতিক চেতনার ওপর প্রতিষ্ঠিত , তাকে বলা হয় নৈতিক স্বাধীনতা । আদর্শবাদী চিন্তাবিদরা নৈতিক স্বাধীনতার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেন ।
জাতীয় স্বাধীনতা : কোনো পরাধীন দেশ যখন মুক্তিলাভ করে তখন তা জাতীয় স্বাধীনতার স্বাদ পায় । ব্যক্তিস্বাধীনতার মূলভিত্তি হলো জাতীয় স্বাধীনতা । 1947 সালের 15 আগস্ট ভারত জাতীয় স্বাধীনতা লাভ করে ।
আইনসংগত স্বাধীনতা : আধুনিক রাষ্ট্রে যে স্বাধীনতা নাগরিকরা ভোগ করেন তাকে আইনসংগত স্বাধীনতা বলা হয় । অর্থাৎ এই ধরনের স্বাধীনতার পেছনে সংবিধান ও আইনের অনুমোদন থাকে । আইনসংগত স্বাধীনতার প্রকৃতি অপেক্ষাকৃত সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট । আইনসংগত স্বাধীনতার তিনটি প্রধান দিকের মধ্যে রয়েছে— ( ক ) ব্যক্তিগত বা পৌর স্বাধীনতা ( খ ) রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং ( গ ) অর্থনৈতিক স্বাধীনতা।
ব্যক্তিগত বা পৌর স্বাধীনতা : ব্ল্যাকস্টোনের মতে , ব্যক্তিগত নিরাপত্তা , ব্যক্তিগত গতিবিধির স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির স্বাধীনতা হলো এই স্বাধীনতার প্রধান উপাদান । বাস্তবিক পক্ষে যে স্বাধীনতা না থাকলে ব্যক্তিজীবনের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সম্ভব নয় , তাকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বলা যায় ।
রাজনৈতিক স্বাধীনতা : রাজনৈতিক স্বাধীনতা নাগরিকদের রাষ্ট্র পরিচালনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে । সরকার গঠন এবং সরকারকে নিয়ন্ত্রণের কাজ করে রাজনৈতিক স্বাধীনতা । ল্যাস্কি রাজনৈতিক স্বাধীনতা বলতে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে বুঝিয়েছেন ।
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা : ল্যাস্কির মতে , অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলতে সেই স্বাধীনতাকে বোঝায় , যা ব্যক্তির দৈনন্দিন খাদ্যসংস্থানের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা , সমস্তরকম সমসুযোগের সৃষ্টি করে । কর্মের অধিকার , বার্ধক্য ও অক্ষম অবস্থায় আর্থিক নিরাপত্তা , সমস্তরকম শোষণের হাত থেকে মুক্তি ইত্যাদি হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মূল উপাদান । অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকলে ব্যক্তিগত বা পৌর স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় বলে অনেকে মনে করেন ।
- উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বাধীনতা ও সাম্যের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করো ।
Answer: স্বাধীনতা ও সাম্যের আদর্শ সভ্য সমাজ গঠনের অন্যতম অপরিহার্য উপাদান । কিন্তু সব সমাজ ব্যবস্থায় স্বাধীনতা ও সাম্যের ধারণার প্রকৃতি একইরকম হয় না । বিভিন্ন । রাজনৈতিক ব্যবস্থায় স্বাধীনতা ও সাম্যের প্রকৃতি বিভিন্ন রকম হয় । মার্কসীয় তত্ত্ব অনুসারে স্বাধীনতা ও সাম্যের প্রকৃতি সমাজ ব্যবস্থার আর্থিক কাঠামো দ্বারা নির্ধারিত হয় । উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ ও হিতবাদের প্রভাব সুস্পষ্ট । এইজন্য উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বাধীনতা ও সাম্যের প্রকৃতি স্বতন্ত্র ।
স্বাধীনতার প্রকৃতি : উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও চিন্তার স্বাধীনতাকে দু’টি মূলনীতি হিসাবে গ্রহণ করা হয় । স্বাধীনতার ওপর সবরকম সরকারি বিধি – নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ নিষিদ্ধ থাকে । উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণহীনতা স্বাধীনতার একটি প্রধান উপাদানরূপে স্বীকৃত । মনে করা হয় , রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের অনুপস্থিতির মধ্যেই স্বাধীনতার প্রকৃত অস্তিত্ব নিহিত থাকে । সরকারি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা যত কম , স্বাধীনতার পরিমাণ তত বেশি হয় । শুধুমাত্র রাজনৈতিক এবং কিছু সামাজিক স্বাধীনতা উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বীকৃতি লাভ করে । অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে এখানে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয় । এইজন্য উদারনৈতিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় স্বাধীনতার ধারণাকে নেতিবাচক বলে অভিহিত করা হয় । সাধারণত যেসব বিষয়ের স্বাধীনতা এখানে স্বীকৃতি পায় সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা , নির্বাচন করা ও নির্বাচিত হওয়ার স্বাধীনতা , যেকোনো পেশা বা বৃত্তি অবলম্বনের স্বাধীনতা , ধর্মীয় স্বাধীনতা , সরকারের সমালোচনা করার স্বাধীনতা প্রভৃতি । এই ব্যবস্থায় স্বাধীনতার ধারণা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী দর্শনের ওপর প্রতিষ্ঠিত । এই তত্ত্ব অনুসারে ব্যক্তিকে নিজের ইচ্ছামতো ও উদ্যোগ অনুসারে অবাধে চলতে দেওয়া হলো স্বাধীনতা । উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতাগুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এগুলি হলো অবাস্তব স্বাধীনতা । কারণ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতা বাস্তবায়িত হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না । মার্কসবাদীদের মতে , উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যে রাজনৈতিক স্বাধীনতা জনগণকে দেওয়া হয় তা শেষ পর্যন্ত মিথ্যায় পরিণত হয় । এই সমাজে স্বাধীনতা আসলে মুষ্টিমেয় মানুষের স্বাধীনতা মাত্র ।
সাম্যের প্রকৃতি : উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাম্যের প্রকৃতি বিশ্লেষণে দেখা যায় , স্বাধীনতার মতো এক্ষেত্রেও সামাজিক – রাজনীতিক সাম্যের আদর্শ প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করা হয় । তাছাড়া আইনের চোখে সবাই সমান এবং আইন কর্তৃক সমভাবে সংরক্ষিত হওয়ার কথাও বলা হয় । এইভাবে আইনের অনুশাসন ও আইনের দৃষ্টিতে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া হয় । সমস্ত নাগরিকের ব্যক্তিত্ববিকাশের জন্য রাষ্ট্র সমান সুযোগ দেওয়ার কথা বলে থাকে । জাতি , ধর্ম , বর্ণ , অর্থ ও প্রতিপত্তির ভিত্তিতে রাষ্ট্র নাগরিকের মধ্যে কোনো ভেদবিচার করে না । ধর্মীয় ক্ষেত্রেও সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলা 1 হয় । সর্বোপরি , সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার এবং নাগরিকের নির্বাচিত হওয়ার অধিকার স্বীকার করে রাজনৈতিক সাম্যের ধারণাকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করা হয় । উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শুধুমাত্র সামাজিক ও রাজনৈতিক সাম্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় । এখানে সাম্যের অন্য কোনো গুরুত্ব স্বীকৃতি পায় না । সমালোচকদের মতে , অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাম্য প্রতিষ্ঠিত না হলে রাজনৈতিক ও সামাজিক সাম্য মূল্যহীন হয়ে পড়ে ।
উদারনৈতিক ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক সাম্যের স্বীকৃতি না থাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক সাম্যের সুযোগ থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্ছিত হয় । উপসংহার : উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বাধীনতা ও সাম্যের প্রকৃতিকে পুরোপুরি মূল্যহীন বলে বর্ণনা করা সমীচীন হবে না । অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও সাম্য প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু মৌলিক ব্যবস্থাও এখানে দেখা যায় ।
- আইনের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো ।
Answer: রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আইনের প্রকৃতি বিশ্লেষণে সচেষ্ট হয়েছেন ।
রাষ্ট্র কর্তৃত্বের নিয়ন্ত্রণ : রাষ্ট্র কর্তৃত্ব আইন তৈরি করে এবং তা বলবৎ করে । ম্যাকাইভারের মতে , রাষ্ট্র হলো আইনের পিতা – মাতা ও সন্তানের মতো । সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচার – আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাষ্ট্র যেসব বিধি – নিষেধ গড়ে তোলে , তা – ই হলো আইন ।
সমাজজীবনের দর্পণ : আইনের মাধ্যমে সমাজের রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনধারার প্রতিফলন ঘটে । মার্কিন রাষ্ট্রপতি উইলসন আইনকে ‘ সমাজজীবনের দর্পণ ’ বলে অভিহিত করেছেন ।
বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী : সমাজবদ্ধ মানুষের বাহ্যিক আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে আইন । অর্থাৎ যেসব কাজকর্ম বাহ্যিক এবং রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সেইসব কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় আইন কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় । মানুষের অন্তর্জীবনের চিন্তাভাবনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই ।
বাধ্যতামূলক : আইন বাধ্যতামূলকভাবে বলবৎ হয় । আইন মেনে না চললে সার্বভৌম শক্তি বলপ্রয়োগ করে নির্দিষ্ট শাস্তি দিতে পারে । অন্য কোনো নিয়ম অমান্য করা হলে ব্যক্তিকে সমালোচনা বা ভর্ৎসনা করা হতে পারে মাত্র , কিন্তু সভ্য সমাজে আইন ছাড়া আর কোনো বিধি এভাবে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বলবৎ হয় না ।
সুস্পষ্ট ও সর্বজনীন : আইনের প্রকৃতি সুস্পষ্ট ও সর্বজনীন । আইন হলো এমন কিছু বিধিনিয়মের সমষ্টি বা প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য ।
পরিবর্তনশীল : আইন অচল , অনড় বা অপরিবর্তনীয় নয় । সময় ও সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে আইনের প্রকৃতিও বদলায় ।
বৈধ ও যুক্তিসংগত : বার্কারের মতে , আদর্শ আইনের মধ্যে বৈধতা ও নৈতিক মূল্য উভয়ই থাকা প্রয়োজন । বৈধতা ও নৈতিক মূল্যের অর্থ হলো , আইন নিছক আইন হলেই চলবে না , তাকে সামাজিক ন্যায়নীতিবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত হতে হবে ।
স্বাধীনতা ও অধিকারের রক্ষাকর্তা : আইনের মধ্য দিয়ে ব্যক্তির স্বাধীনতা ও অধিকার সুরক্ষিত হয় । আইন সকলের জন্য সমান সুযোগসুবিধা দেয় । সুযোগসুবিধা যাতে প্রত্যেকে ভোগ করতে পারে তাও আইন সুনিশ্চিত করে ।
শাসকশ্রেণির ইচ্ছা : আইনের প্রকৃতি সম্বন্ধে মার্কসীয় দৃষ্টিকোণ সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । মার্কস ও এঙ্গেলস – এর মতে , যেসব ব্যক্তি শাসন করে , তারা কেবল রাষ্ট্রের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা সংগঠিত করে না , তারা নিজেদের ইচ্ছাকে সর্বজনীন ইচ্ছারুপে অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ইচ্ছা বা আইনরূপে প্রতিষ্ঠিত করে । মার্কসবাদী লেখক ভিশিন্স্কির মতে , সমাজের প্রতিপত্তিশালী শ্রেণির ইচ্ছার প্রকাশ হলো আইন । রাষ্ট্রীয় আইন এক ধরনের মুখোশ , এর পেছনে বণিকশ্রেণি রাজনৈতিক কর্তৃত্বের সুবিধা ভোগ করে । শুধুমাত্র শ্রেণিহীন সাম্যবাদী সমাজে আইন নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে বলে মার্কসবাদীরা দাবি করেন ।
- স্বাধীনতার রক্ষাকবচ সম্পর্কে আলোচনা করো ।
Answer: স্বাধীনতার রক্ষাকবচগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো—
লিখিত মৌলিক অধিকার : নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ রাখা এবং ঐগুলি ভঙ্গ করলে তাদের প্রতিকারের জন্য ব্যবস্থা করাকে ব্যক্তিস্বাধীনতার রক্ষাকবচ বলে মনে করা হয় । মৌলিক অধিকারগুলি সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকলে জনগণ সেগুলি সম্বন্ধে অবহিত হওয়ার সুযোগ পান । সরকার যদি মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে তাহলে জনগণ সাংবিধানিক পদ্ধতিতে নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে । ভারতের সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসাবে বাক ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা , সংঘ বা সমিতি গঠনের স্বাধীনতা , ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রভৃতিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে । এছাড়া মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ।
ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ : মস্তেস্ক , ম্যাডিসন , ব্ল্যাকস্টোন প্রমুখ ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণকে স্বাধীনতার রক্ষাকবচ বলে অভিহিত করেছেন । তাঁদের মতে , সরকারের সমস্ত ক্ষমতা একই ব্যক্তি বা বিভাগের হাতে ন্যস্ত হলে স্বৈরাচারের সম্ভাবনা দেখা দেয় । এর ফলে ব্যক্তিস্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয় । সেজন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরণ প্রয়োজন । ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ থাকলে সরকারের কোনো বিভাগই ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহার করতে পারে না , ফলে ব্যক্তিস্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকে ।
আইনের অনুশাসন : অধ্যাপক ডাইসি আইনের অনুশাসন বা ‘ Rule of Law’- কে স্বাধীনতার একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ হিসাবে বর্ণনা করেছেন । ডাইসির মতে , আইনের অনুশাসন বলতে বোঝায়- সাধারণ আইনের সর্বাত্মক প্রাধান্য ও আইনের চোখে সমতার নীতি অনুসরণ সাধারণ আইন দ্বারা নাগরিক অধিকারগুলির সংরক্ষণ । এর ফলে সরকারের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার সুযোগ থাকে না , ফলে ব্যক্তিস্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকে । তাছাড়া সবার জন্য একই আইনের অস্তিত্ব থাকায় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত কেউই বাড়তি সুবিধা ভোগ করতে পারে না । গ্রেট ব্রিটেনের সংবিধান আইনের অনুশাসনের নীতিটিকে পুরোপুরি গ্রহণ করেছে ।
দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থা : দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থা হলো স্বাধীনতার আর একটি রক্ষাকবচ । দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থায় সরকার আইনসভায় জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে দায়বন্ধ থাকে । তাছাড়া আইনসভার ভিতরে ও বাইরে বিরোধী পক্ষের সমালোচনার ভয়ে সরকার জনগণের স্বাধীনতার পরিপন্থী কোনো কাজ করতে সাহস পায় না । কারণ সুসংবদ্ধ বিরোধী দল জনমতকে সজাগ রাখতে সাহায্য করে ।
প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি : গণভোট , গণউদ্যোগ , পদচ্যুতি প্রভৃতি প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে স্বাধীনতার অন্যতম রক্ষাকবচ বলে গণ্য করা হয় । সরকার নাগরিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলে জনগণ প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । এমনকী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাও সম্ভব হয় । অবশ্য বৃহদায়তন জনবহুল দেশগুলিতে এইসব পদ্ধতি অনুসরণ করা অসম্ভব । এখানে উল্লেখ করা যায় যে , সুইজারল্যান্ডের মতো ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিগুলি বর্তমানে আংশিকভাবে চালু রয়েছে ।
ক্ষমতাবিকেন্দ্রীকরণ : ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ স্বাধীনতার রক্ষাকবচ হিসাবে স্বীকৃত । বলা হয় যে , প্রশাসনিক ক্ষমতা অতিমাত্রায় কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়লে শাসন বিভাগের স্বৈরাচারী হওয়ার প্রবনতা দেখা দেয় , যার ফলে ব্যক্তিস্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয় । অধ্যাপক ল্যাস্কির মতে , যে রাষ্ট্রে কেন্দ্রের হাতে অতিমাত্রায় ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত সেখানে স্বাধীনতা থাকতে পারে না ।
সদাজাগ্রত জনমত : স্বাধীনতার সর্বশ্রেষ্ঠ রক্ষাকবচ হিসাবে সদাজাগ্রত জনমতের কথা উল্লেখ করা হয় । স্বাধীনতার জন্য নাগরিকদের অদম্য আকাঙ্ক্ষা এবং সবরকম ত্যাগ স্বীকারের ইচ্ছা ছাড়া স্বাধীনতা রক্ষা করা যায় না । স্বাধীনতার ওপর যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে নাগরিকদের সর্বদা সচেতন থাকা প্রয়োজন । গ্রিক দার্শনিক পেরিক্লিস বলেছিলেন , চিরন্তন সতর্কতা হলো স্বাধীনতার মূল্য এবং সাহসিকতা হলো স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ।
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা : স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগের অস্তিত্ব ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ । বিচার বিভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তার ভূমিকা পালন করতে পারলে নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত করা সম্ভব হয় । নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ ন্যায়বিচারকে সুনিশ্চিত করে । এর ফলে ব্যক্তিস্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় , স্বাধীনতা কখনো খণ্ডিতভাবে উপলব্ধি করা যায় না । সমাজের কোনো অংশের স্বাধীনতা অস্বীকার করে প্রকৃত স্বাধীনতার পরিবেশ গড়ে তোলা যায় না । তাই নিছক আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির মাধ্যমে স্বাধীনতা সংরক্ষণ সম্ভব নয় ৷ এজন্য জনগণকে সদাসচেষ্ট থাকতে হবে ।
- স্বাধীনতা ও আইনের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো ।
Answer: স্বাধীনতা ও আইনের সম্পর্ক নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে । অনেকে মনে করেন , আইন ছাড়া স্বাধীনতার কথা ভাবা যায় না । আবার অনেকে মনে করেন , আইন ও স্বাধীনতা দু’টি পরস্পরবিরোধী ধারণামাত্র । ব্যক্তিস্বাতন্ত্র বাদী ও নৈরাজ্যবাদী দার্শনিকরা ব্যক্তিস্বাধীনতা সংরক্ষণে আইন এবং রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের ভূমিকাকে স্বীকার করেননি । অবশ্য বার্কার প্রমুখ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর মতে , স্বাধীনতার পরিবেশ রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টা ছাড়া গড়ে ওঠে না । নাগরিকরা যে স্বাধীনতা ভোগ করে রাষ্ট্র তা আইনের মাধ্যমে কার্যকর করে । অবশ্য রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বে নেতিবাচক ভূমিকার কথাও উল্লেখিত আছে । ব্রাইসের অভিমত হলো , আইন এবং স্বাধীনতার মধ্যে যেকোনো একটিকে প্রাধান্য দিলে অন্যটি সংকুচিত হয়ে পড়ে । অবশ্য অবাধ স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর বলে 3 মনে করা হয় ।
আইন বক্তিস্বাধীনতার রক্ষাকবচ : আইনের সাহায্যে রাষ্ট্র নানাভাবে ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করে—
1)আইন আছে বলেই সবলের হাত থেকে দুর্বল রক্ষা পায় ৷
2) আইনের মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকে বলে নাগরিক স্বাধীনতা খুব সহজে কোনো শাসকগোষ্ঠী কেড়ে নিতে পারে না ।
3) অনেকে মনে করেন , আইন যে শুধুমাত্র স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করে তা – ই নয় , স্বাধীনতার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গঠনেও আইন সাহায্য করে । নাগরিকদের অন্তর্নিহিত সার সর্বাঙ্গীণ বিকাশের নাম স্বাধীনতা । আইনের দ্বারাই স্বাধীনতার প্রকাশ ঘটে ।
আইনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশই স্বাধীনতা : আধুনিক জনকল্যাণকর রাষ্ট্র নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত শিক্ষা , স্বাস্থ্য , বাসস্থান , শান্তিপূর্ণ সামাজিক পরিবেশের সুরক্ষা ইত্যাদির ব্যবস্থা করে থাকে । নাগরিকদের আত্মবিকাশের উপযোগী সুযোগসুবিধাকে যদি স্বাধীনতা বলা হয় তাহলে তা অবশ্যই আইনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় ।
আইন ও স্বাধীনতা পরস্পরের পরিপূরক : সমাজবিজ্ঞানী বার্কার স্বাধীনতাকে আপেক্ষিক বলে বর্ণনা করেছেন । একজনের স্বাধীনতা অন্যজনের স্বাধীনতা ভোগের প্রশ্নের সঙ্গে জড়িত । কাজেই নিয়ন্ত্রণ ছাড়া স্বাধীনতার কোনো অর্থ হয় না । সমাজের প্রতিটি নাগরিকের স্বাধীনতা সংরক্ষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের । আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্র এই দায়িত্ব পালন করে থাকে ।
সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইন স্বাধীনতার প্রকৃত শর্ত : মার্কসবাদীরা মনে করেন , ধনবৈষম্যমূলক সমাজে রাষ্ট্রীয় আইনের প্রকৃতি বৈষম্যমূলক । রাষ্ট্র এখানে সকল জনগণের বদলে অল্প কিছু সম্পত্তিবান শ্রেণির স্বার্থ ও স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করে । একমাত্র সমাজতান্ত্রিক সমাজে আইনের মাধ্যমে জনগণের স্বাধীনতা সংরক্ষণ সম্ভব । আইন সেখানে স্বাধীনতার প্রকৃত শর্তরূপে কাজ করে ।
- আইনের উৎসগুলি বিশ্লেষণ করো ।
Answer: বাস্তব দিক থেকে সার্বভৌম শক্তির অনুমোদনকে আইনের একমাত্র উৎস বলে অভিহিত করা হয় । এছাড়াও আইনের উৎস হিসাবে আর্থ – সামাজিক , ধর্মীয় , সাংস্কৃতিক প্রভাব যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা আইনের যেসব উৎসকে মুখ্য বলে বর্ণনা করেছেন সেগুলি নিম্নে আলোচিত হলো—
প্রথা : আইনের সবচেয়ে প্রাচীন উৎস হলো প্রথা । এই প্রথা হলো এমন কিছু নিয়মকানুন যা ব্যক্তির আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে । প্রাচীন সমাজে প্রথার সাহায্যে দ্বন্দ্বের মীমাংসা করা হতো , কোনো রাষ্ট্রই প্রথা না মেনে আইন প্রণয়ন করতে পারে না । আধুনিক কালে অনেক রাষ্ট্রের আইনের মধ্যে প্রথাগত বিধানের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায় । যেমন — উদাহরণস্বরূপ ব্রিটেনের সংবিধানের কথা উল্লেখ করা যায় । ব্রিটেনে অলিখিত সংবিধানের বেশিরভাগই সেখানকার রীতিনীতি ও প্রথার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে ।
ধর্ম : ধর্ম হলো আইনের একটি প্রাচীন উৎস । প্রাচীন কালে প্রায় সকল সমাজের প্রচলিত প্রথা ছিল ধর্মকেন্দ্রিক । ধর্মীয় বিধি অমান্য করলে তা ছিল দণ্ডনীয় অপরাধ । ধর্মীয় রীতিনীতি প্রাচীন সমাজজীবনে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা প্রতিষ্ঠা করেছিল । রাজাকে মনে করা হতো ঈশ্বরের প্রতিনিধি , তাই রাজার নির্দেশগুলিকে ঈশ্বরের আদেশের সমতুলা মর্যাদা দেওয়া হতো । উইলসনের মতে , প্রথম যুগে রোমের আইন কয়েকটি ধর্মীয় সূত্র ছাড়া আর কিছুই ছিল না । ইহুদি সমাজের ধর্মীয় অনুশাসনের একটি বড়ো অংশ আইনে রূপান্তরিত হয়েছে । মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতেও অনুরূপ চিত্র দেখা যায় ৷
বিচার ব্যবস্থা : বিচারালয়ের সিদ্ধান্ত আইনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস । আদিম সমাজে রাজা বা দলপতির ওপর দায়িত্ব দেওয়া হতো । ব্যক্তিগত বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে এই বিচারকরা যেসব রায় দিতেন তা পরবর্তীকালে বিচার কাজে আইন হিসাবে গণ্য হতো । বর্তমানে অনেকসময় এইভাবে বিচারের রায় আইন সৃষ্টি করে । বিচারকরা আইনের যে ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ প্রদান করেন তা থেকে আইনের অর্থ সুস্পষ্ট হয় ।
ন্যায়বিচার : আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো ন্যায়বিচার । দেশে প্রচলিত আইনকানুনের সাহায্যে কোনো ক্ষেত্রে যদি ন্যায়বিচারের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব না হয় , তাহলে বিচারপতিগণ নিজস্ব বিচারবুদ্ধি ও ন্যায়নীতিবোধ অনুসারে বিচারকাজ সম্পাদন করেন । এর ফলে নতুন আইন সৃষ্টি হয় ।
আইনজ্ঞদের আলোচনা : বিভিন্ন মামলাকে কেন্দ্র করে এবং আইন সংক্রান্ত বিষয়ে সুপণ্ডিত ব্যক্তিদের মতামত ও সিদ্ধান্ত আইনের উৎস হিসাবে কাজ করে । আইনের ওপর আইনজ্ঞদের আলোচনা , ভাষ্য , টীকা ইত্যাদি বিচারের রায়দানের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতো । কোক , ব্ল্যাকস্টোন প্রমুখের টীকা ব্রিটেনের আইন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে । আমাদের দেশে মনু প্রমুখ স্মৃতিশাস্ত্রের ব্যাখ্যাকার হিন্দু আইনের সংস্কারসাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ।
আইনসভা : বর্তমানে আইনসভা কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে আইন প্রণয়ন হলো আইনের প্রধান উৎস । আইনসভার সদস্যরা জনমতের সঙ্গে সংগতি রেখে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করেন । জনকল্যাণকর রাষ্ট্রে ব্যাপক দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য যেসব আইনের প্রয়োজন হয় তা তৈরি করে আইনসভা । এর ফলে আইনসভা কর্তৃক প্রণীত আইনের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে । অন্যদিকে প্রথা , ধর্ম ইত্যাদি উৎসের গুরুত্ব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে ।
একাদশ শ্রেণীর সাজেশন ২০২৪ – Class 11 Suggestion 2024
আরোও দেখুন:-
Class 11 Bengali Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 English Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Geography Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 History Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Political Science Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Philosophy Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sociology Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sanskrit Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Education Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Physics Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Chemistry Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Biology Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Mathematics Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Suggestion 2024 Click here
পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। West Bengal Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion Download. WBCHSE Class 11 short question suggestion. WB Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF download. Class 11 Question Paper Political Science. WB Class 11th Political Science suggestion and important questions. Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF.
Get the WBCHSE Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF by winexam.in
West Bengal WB Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF prepared by expert subject teachers. WB Class 11th Political Science Suggestion with 100% Common in the Examination.
Class 11th Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion
West Bengal Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion Download. WBCHSE Class 11 Adhunik Rajnitik Moulik Dharona short question suggestion. WB Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF download. Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Question Paper.
একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | WB Class 11th Political Science Suggestion
একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona) আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর। একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | WB Class 11th Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion
আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | West Bengal Class Eleven Political Science Suggestion
একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির বোর্ডের (WBCHSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | West Bengal Class Eleven Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion । রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন আমাদের একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন বই ।
আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | West Bengal Class 11th Suggestion
আমরা WBCHSE একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | West Bengal Class 11th Suggestion আলোচনা করেছি। আপনারা যারা এবছর একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।
একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) | Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion with FREE PDF Download
Political Science Class XI, Political Science Class Eleven, WBCHSE, syllabus, একাদশ শ্রেণি রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ক্লাস টোয়েলভ রাষ্ট্রবিজ্ঞান, একাদশ শ্রেণিরের রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান একাদশ শ্রেণির – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়), একাদশ শ্রেণী – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়), একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়), ক্লাস টেন আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়), Class 11 – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়), Class 11th আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়), Class XI আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়), ইংলিশ, একাদশ শ্রেণির ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Class 11 Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion, Class 11th Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion , Class 11 Suggestion , West Bengal Class 11 Board exam suggestion, West Bengal Class Eleven Board exam suggestion , WBCHSE , আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির সাজেশান, একাদশ শ্রেণির সাজেশান – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) , একাদশ শ্রেণির সাজেশান – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) , একাদশ শ্রেণির সাজেশন আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়), একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশান , একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশান , একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান , আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Class 11 Suggestion Political Science , একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF, একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) সাজেশন | একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF,একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান – আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF, Class 11 Suggestion PDF , West Bengal Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF.
FILE INFO : WB Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF Download for FREE | একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন বিনামূল্যে ডাউনলোড করুণ | আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর, ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নউত্তর
PDF Name : আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF
Price : FREE
Download Link1 : Click Here To Download
Download Link1 : Click Here To Download
Download Link2 : Click Here To Download
আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF
এই ” আধুনিক রাজনীতির মৌলিক ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন | WB Class 11 Political Science Adhunik Rajnitik Moulik Dharona Suggestion PDF ” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।