প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন
Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF
প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF : প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষায় বা একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষায় (Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF | West Bengal Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF | WBCHSE Board Class 11th Geography Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির ভূগোল সাজেশন | Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF | WBCHSE Board Class 11th Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন।
প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির ভূগোল সাজেশন/নোট (West Bengal Class 11th Geography Question and Answer / WBCHSE Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF)
পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন (West Bengal Class 11th Geography Suggestion PDF / Notes / Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion) প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে।
প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) | Prakritik Bhugol Niti Somuho
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion :
- মেলাস কী ?
Answer: মহিখাতের অবশিষ্ট অংশে ভঙ্গিল পর্বতের ক্ষয়জাত পদার্থের সঞ্চয়কে বলা হয় মেলাস ।
- ভূত্বকের শিলার ও পৃথিবীর গড় ঘনত্ব কত ?
Answer: 2.8 গ্রাম / ঘন সেমি ও 5 : 517 গ্রাম / ঘন সেমি ।
- ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেসকল তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে , তাদের কী বলে ?
Answer: দেহতরঙ্গ ।
- যে তরঙ্গ ভূমিকম্প কেন্দ্র থেকে প্রথম ভূপৃষ্ঠের উপকেন্দ্রে এসে পৌঁছায় তাকে কী বলে ?
Answer: প্রাথমিক তরঙ্গ ( “ P ’ wave ) , এর গতিবেগ ৪ কিমি / সেকেন্ড ।
- যে তরঙ্গ ভূমিকম্প কেন্দ্র থেকে ‘ P তরঙ্গের পরে এসে পৌঁছায় তাকে কী বলে ?
Answer: গৌণ তরঙ্গ ( ‘ S ‘ wave ) ।
- যে তরঙ্গ ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে প্রবাহিত হয় , তাকে কী বলে ?
Answer: পৃষ্ঠ তরঙ্গ ( ‘ L ‘ wave ) ।
- ভূমিকম্প ছায়াবলয় কী ?
Answer: ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে উপকেন্দ্র পর্যন্ত সরলরেখা দ্বারা যুক্ত করলে যে কৌণিক দুরত্ব তৈরি হয় তার বাইরে p এবং s তরঙ্গ সিসমোপ্রাফে ধরা পড়ে না । তাই ভূমিকম্প কেন্দ্রের বিপরীত দিকের অঞ্চলকে বলা হয় ভূমিকম্প ছায়াবলয় ।
- মহাদেশ ও মহাসাগরীয় ভূত্বকের গভীরতা কত ?
Answer: 70 কিমি ও 5-7 কিমি ।
- লেম্যান বিযুক্তিরেখা কাকে বলে ?
Answer: বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল ও অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে যে বিযুক্তিতল লক্ষ করা যায় , তাকে ইঙ্গে লেম্যানের ( 1936 খ্রিস্টাব্দে ) নামানুসারে বলা হয় লেম্যান বিযুক্তিরেখা ।
- মোহোরোভিষিক বিযুক্তিরেখা কাকে বলে ?
Answer: মহাসাগরীয় ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের মাঝে যে বিযুক্তিতল লক্ষ করা যায় , তাকে অ্যানড্রিজা মোহোরোভিষিকের নামানুসারে ( 1909 খ্রিস্টাব্দে ) বলা হয় মোহোরোভিষিক বিযুক্তিরেখা ।
- বেনিয়ফ জোন কী ?
Answer: দু’টি পাত পরস্পরের কাছে এলে একটি অপরটির নীচে চলে যায় এবং এরূপ অনুপ্রবেশ চলতে থাকায় কালক্রমে ভূগভীরে প্রবেশ করে ঘর্ষণজনিত কারণে ও গুরুমণ্ডলীয় উত্তাপের সংস্পর্শে গলে গিয়ে গুরুমণ্ডলে অন্তর্ভুক্ত হয় । এরূপ ভূমিকম্পপ্রবণ ঢালু পাতসীমান্তকে বেনিয়ফ জোন বলে ।
- অ্যাসথেনোস্ফিয়ার কী ?
Answer: অ্যাসথেনোস্ফিয়ার একটি গ্রিক শব্দ যার অর্থ ‘ দুর্বল মণ্ডল ‘ । ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 60-200 কিমি অভ্যস্তরে গুরুমণ্ডলের উপরের স্তরে যে থকথকে , সান্দ্র এবং প্লাস্টিকের মতো দুর্বল স্তর রয়েছে , তাকে বলা হয় অ্যাসথেনোস্ফিয়ার বা ক্ষুদ্ধমণ্ডল ।
- মেলাঙ্গে কী ?
Answer: দু’টি মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষজনিত কারণে সমুদ্রখাতের সৃষ্টি হলে সেই খাতে ভেঙে যাওয়া পাতের টুকরো , আগ্নেয় পদার্থ প্রভৃতির সমন্বয়ে এক প্রকার মিশ্র পদার্থের সৃষ্টি হয় , একেই বলা হয় মেলাঙ্গে ।
- বৃত্তচাপীয় দ্বীপমালা কাকে বলে ?
Answer: মহাদেশের প্রান্তসীমায় ধ্বংসাত্মক পাতসীমান্তে পাতের অধোগমনের কারণে উদ্ভূত সমুদ্রখাত এবং আগ্নেয় মেখলার উত্তল প্রান্ত বরাবর অসংখ্য দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ একটি বা দু’টি বৃত্তচাপের আকারে মহাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে কিছুটা দূরে সজ্জিত থাকে , এদেরকে বৃত্তচাপীয় দ্বীপমালা বলে ।
- প্রতিবিধান তল ( Level of Compensation ) কী ?
Answer: ভূত্বকের নীচের স্তরে এমন একটি তল আছে যেখানে পদার্থ সমপ্রকৃতির এবং প্রত্যেক ভূত্বকীয় স্তম্ভ সেখানে সমান চাপ প্রয়োগ করে । প্র্যাট এই তলকে প্রতিবিধান তল নামে অভিহিত করেছেন ।
- সাবডাকশান জোন ( Subduction Zone ) কাকে বলে ?
Answer: মহাদেশ – মহাসাগরের সীমান্ত বরাবর মহাসাগরীয় প্লেট মহাদেশীয় প্লেটের তলায় ঢুকে যাওয়ার স্থানে সীমান্ত বরাবর গভীর গহ্বরের সৃষ্টি হয় । একেই সাবডাকশন জোন বলা হয় ।
- রেপট্টি বিযুক্তিরেখা কাকে বলে ?
Answer: বহিঃগুরুমণ্ডল ও অস্তঃগুরুমণ্ডলের মাঝে যে বিযুক্তিতল লক্ষ করা যায় , তাকে ভূবিজ্ঞানী রেপিট্টির নামানুসারে বলা হয় রেপিট্টি বিযুক্তিরেখা ।
- গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা কাকে বলে ?
Answer: গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে যে বিযুক্তিতল লক্ষ করা যায় , তাকে উইশার্ট ( 1897 ) ও গুটেনবার্গ ( 1912 ) এর নামানুসারে বলা হয় উইশার্ট – গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা ।
- ক্রফেসিমা ও নিফেসিমা কী ?
Answer: বহিঃগুরুমণ্ডল মূলত ক্রোমিয়াম , লোহা , সিলিকা ও ম্যাগনেশিয়াম দ্বারা গঠিত বলে এদের প্রথম অক্ষরগুলিকে যুক্ত করে বলা হয় ব্রুফেসিমা । অন্যদিকে নিকেল , লোহা , সিলিকা ও ম্যাগনেশিয়াম দ্বারা গঠিত বলে এদের প্রথম অক্ষরগুলি যুক্ত করে বলা হয় নিফেসিমা ।
- কত সালে JOIDES সংস্থা গ্লোমার চ্যালেঞ্জার জাহাজের সাহায্যে মধ্য আটলান্টিক অঞ্চল থেকে সামুদ্রিক অবক্ষেপ ও সমুদ্রতলের পৃষ্ঠশিলা সংগ্রহ করে বয়স নির্ধারণ করে ?
Answer: 1968 সালে ।
- নিফেকী ?
Answer: কেন্দ্ৰমণ্ডল মূলত দু’টি খনিজ পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত । যথা — নিকেল ও লোহা । নিকেলের Ni , লোহার Fe একত্রে যুক্ত করে বলা হয় নিফে ।
- ত্রিপাত সংযোগ কী ?
Answer: যে পাত সীমানা বরাবর তিনটি পাত এসে মিলিত হয়ে ঠিক ‘ y ‘ আকৃতির ন্যায় নির্দেশ করে , একেই প্রধানত বলা হয় ত্রিপাত সংযোগ । যেমন — আন্টার্কটিকা , নাজকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংযোগস্থলে এইরূপ ত্রিমুখী সংযোগ দেখা যায় ।
MCQ প্রশ্নোত্তর | প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion :
- ল্যাপলাস নীহারিকা মতবাদটি কত সালে দেন ? (A) 1696 (B) 1786 (C) 1896(D) 1796 সালে
Answer: (D) 1796 সালে
- জিনস ও জেফ্রিসের জোয়ারের তত্ত্ব কত সালে প্রকাশিত হয় ? (A) 1918-19 (B) 1919-20 (C) 1920-21(D) 1921-1922 সালে
Answer: (A) 1918-19 সালে
- হেরল্ড জেফ্রিস সংঘর্ষ তত্ত্ব কত সালে প্রকাশ করেন ?(A) 1927(B) 1929 (C) 1931(D) 1935 সালে
Answer: (B) 1929
- কত সালে মোহোরোভিসিক ও গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখার সন্ধান পান ? (A) 1919 ও 1920(B) 1920 ও 1922 (C) 1909 ও 1912(D) 1912 – 1914 সালে
Answer: (C) 1909 ও 1912
- Isostasy সম্পর্কে প্র্যাট কত সালে তাঁর মতবাদটি দেন ? (A) 1860(B) 1859 (C) 1759(D) 1959 সালে
Answer: (B) 1859
- Die Entstehung der Kontinente und Ozeane ‘ বইটির লেখক কে ? (A) জেফ্রিস (B) বেকন(C) ওয়েগনার(D) টেলর
Answer: (C) ওয়েগনার
- ‘ নোডাম অর্গানাম ’ গ্রন্থটি কে লিখেছেন ? (A) টেলর (B) প্রাট (C) জেফ্রিস(D) বেকন
Answer: (D) বেকন
- Isostasy সম্পর্কে Airy তার মতবাদটি কত সালে দেন ?(A) 1755(B) 1855 (C) 1955 (D) 2005 সালে
Answer: (B) 1855
- কত সালে চেম্বারলিন ও মুলটন গ্রহকণিকা মতবাদ দেন ?(A) 1804 (B) 1904 (C) 1950(D) 1908 সালে
Answer: (B) 1904
- কত সালে ইমানুয়েল কান্ট নীহারিকা মতবাদ দেন ? (A) 1655(B) 1750(C) 1755(D) 1850 সালে
Answer: (C) 1755
- কত সালে লিটলটন ত্রিনক্ষত্র মতবাদ দেন ? (A) 1920 (B) 1925 (C) 1930 (D) 1938 সালে
Answer: (D) 1938 সালে
- ‘ Isostasy ’ শব্দটি ভূবিজ্ঞানী ডাটন কত সালে প্রয়োগ করেন ? (A) 1859(B) 1989 (C) 1898 (D) 1998 সালে
Answer: (A) 1859
- ‘ History of Ocean Basin ‘ ( 1962 ) বইটির লেখক– (A) কান্ট (B) উইলসন (C) প্রাট (D) হ্যারি হেস
Answer: (D) হ্যারি হেস
- মহাদেশীয় ভূত্বক কোন শিলায় গঠিত ? (A) গ্রানাইট (B) ব্যাসল্ট(C) কাদাপাথর (D) চুনাপাথর
Answer: (A) গ্রানাইট
- নিমজ্জিত পাতের ঢালু অংশকে কী বলা হয় ? (A) ত্রিপাত সংযোগ (B) বেনিয়ফ জোন (C) শৈলশিরা(D) জিওসিনক্লাইন
Answer: (B) বেনিয়ফ জোন
- পৃথিবী সৃষ্টি সংক্রান্ত জে . ডি . বুফনের ধূমকেতু মতবাদটি কত সালে প্রকাশিত হয় ? (A) 1696(B) 1700(C) 1749(D) 1894 সালে
Answer: (C) 1749
বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নোত্তর | প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion :
- সমস্থিতি কী ? সমস্থিতি সম্পর্কে এয়ারি ও গ্র্যাটের দেওয়া তত্ত্বটি আলোচনা করো ।
Answer: আমেরিকার ভূবিজ্ঞানী John Dutton -এর মতানুসারে ( 1859 ) শিলাস্তরের ঘনত্ব ও ভরের সঙ্গে সমতা বজায় রেখে যে প্রক্রিয়ায় মহাদেশীয় ভূত্বক অর্থাৎ সিয়াল স্তর এবং মহাসাগরীয় ভূত্বক বা সিমা স্তরের উচ্চতা হ্রাস – বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রেখে পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় রাখাকে বলা হয় সমস্থিতি বা Isostasy .
ব্যাখ্যা : 1854 সালে তদানীন্তন Surveyor General of India থেকে গঙ্গা সমভূমির গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণের সময় ঐরকম একটি সমস্থিতির আভাস পাওয়া যায় । বিষয়টি কালিয়ানাপুর এবং কল্যাণপুর অক্ষাংশের পার্থক্যের মধ্যে ধরা পড়ে । Dutton উল্লেখ করেন যে পৃথিবী যদি সমসত্ব পদার্থের দ্বারা গঠিত না হতো তাহলে পৃথিবীর আকৃতি কখনোই অভিগত বৃত্তাকার হতো না ।
সমস্থিতির সূচনা : Isostasy theory’- এর ইঙ্গিত Dutton পূর্বে কিছু কিছু ভূবিদের আলোচনা থেকে লক্ষ করেছেন । 1735 সালে Pjerre Bouqur নামক এক বিজ্ঞানী আন্দিজ অভিযানে Isostasy লক্ষ করেছেন । সমস্থিতির কার্যাবলি সবসময় চলছে । তবে অনেকাংশে ভূআন্দোলনের ফলে ভুঅভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক শক্তির দ্বারা অনবরত সমস্থিতির কার্যাবলি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এবং ভূগঠন প্রক্রিয়া নতুনভাবে সজ্জিত হচ্ছে । তাই এই সমস্ত কারণে প্রকৃত সমস্থিতি যদিও সম্ভব নয় তবুও সমস্থিতির নীতি বা Principle of Isostasy সর্বদাই সত্য ।
অন্যান্য ভূগোলবিদের ধারণা : সমস্থিতি মতবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন ভূগোলবিদ বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন । তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- Airy , Pratt , Joly , Hayford , Bowie etc. Isostasy’- এর ধারণা সম্পর্কে Airy এবং Pratt এর ধারণা নিম্নে আলোচনা করা হলো
এয়ারির ধারণা :
1855 সালে Airy ‘ Isostasy ‘ সম্পর্কে প্রথম ব্যাখ্যাটি দেন । তাঁর মতে , ভূত্বকের সংলগ্ন বিভিন্ন স্তম্ভ ( পর্বত , মালভূমি , সমভূমি ) কোনো একটি নির্দিষ্ট তলে চাপ দেয় না । এই স্তম্ভগুলি অন্তঃস্তরের মধ্যে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে । এই স্তম্ভগুলি সমঘনত্ব বিশিষ্ট এবং এদের উচ্চতার পার্থক্যে অস্তঃস্তরে গভীরতার পার্থক্য দেখা যায় ।
হাইড্রোস্টাটিক ভারসাম্য :
Airy উদাহরণ দিয়ে বলেন যে জলের উপর পদার্থ যেভাবে ভাসে ঠিক সেভাবে মহাদেশীয় ভূভাগগুলোও ভূনিম্নস্থ তরল পদার্থের উপর ভাসছে । তাই তাঁর মতবাদকে Hydrostatic equilibrium মতবাদ বলা হয়।
এয়ারির প্রমাণ :
পরীক্ষা : একটি পরীক্ষার মাধ্যমে Airy- এর মতবাদের ব্যাখ্যাকে প্রমাণ করা যায় । যেমন — একটি পারদপূর্ণ পাত্রের মধ্যে একই প্রকার ঘনত্ব বিশিষ্ট বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ধাতব পদার্থগুলিকে একসঙ্গে ভাসিয়ে দেওয়া হয় ।
নিরীক্ষা : ধাতব পদার্থগুলির দৈর্ঘ্য বিভিন্ন প্রকারের হওয়ায় তাদের মধ্যে ভরের পার্থক্য হয় । তাই এই পরীক্ষায় দেখা যায় সর্বোচ্চ খন্ডটি পারদের উপর সর্বাপেক্ষা বেশি উঁচু হয়ে আছে এবং নীচের দিকেও সবচেয়ে বেশি ডুবে আছে । অন্যদিকে সবচেয়ে কম । উচ্চ খন্ডটি সর্বাপেক্ষা কম উঁচু হয়ে আছে এবং নিচের দিকেও সবচেয়ে কম ডুবে আছে ।
সমাধান : Airy- এর মতে , পৃথিবীর পর্বত , মালভূমি ও সমভূমির ঘনত্ব এক নয় । সুতরাং তাদের নীচের অংশ একই সমতলে অবস্থান করে না । তাই পর্বত বা মালভূমির ভারসাম্য রক্ষার্থে নীচের স্তর অধিক পরিমাণ স্থান জুড়ে রয়েছে এবং সমভূমি নীচে অপর কোনো স্তরের ভিতর সামান্য পরিমাণ স্থান জুড়ে অবস্থান করে , আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে আদৌ কোনো স্থান জুড়ে অবস্থান করে না ।
সমালোচনা : Airy এর মতবাদ পরীক্ষা ও বিজ্ঞান জগতে সম্মান পেলেও পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন ভূগোলবিদ কিছু কিছু ত্রুটি লক্ষ করেন । যদি Airy -এর কথা সত্য বলে ধরা হয় , তবে একথা ঠিক যে পৃথিবীর উপরিভাগে অবস্থিত সকল উচ্চ বস্তুরই কিছু একটা মূল অভ্যন্তরভাগে থাকবে । কিন্তু এটা পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত যে হিমালয় পর্বতের ঐ বিশাল রুট ( Root ) ভূঅভ্যন্তরে থাকা সম্ভব নয় । কারণ ভূঅভ্যন্তরে এরূপ গভীর তলদেশের উত্তাপ এত বেশি থাকে যে এরূপ উয়তায় কোনো বস্তু শক্ত থাকা সম্ভব নয় । তবে Airy- এর মতবাদকে প্রাথমিক তথ্য হিসেবে ধরে নিয়ে সকল বিজ্ঞানী স্বীকার করেছেন যে হালকা পদার্থ ( Sial ) ভারী পদার্থের ( Sima ) উপর ভাসমান অবস্থায় রয়েছে ।
প্র্যাট – এর ধারণা : বিজ্ঞানী Pratt হিমালয় অঞ্চলের কালিয়ানাপুর এবং কল্যাণপুর এই দু’টি স্থানের অবস্থান ভূমি জরিপ দ্বারা নির্ণয় করতে গিয়ে যে পার্থক্য লক্ষ করেন তার উপর নির্ভর করে Pratt এই মত পোষণ করেন যে বিভিন্ন ঘনত্বের ব্লক যদি ভারী মাধ্যমের উপর ভাসে তাহলে তাদের অপসারণ সমান হবে এবং ব্লকগুলি স্থিতিসাম্য অবস্থায় থাকবে । Pratt এর মতে পর্বতগুলোর গড় ঘনত্ব হলো 2.75 যা মহাদেশীয় শিলার সমান ।
হিমালয়ের নিম্নস্তর এবং মহাদেশীয় নিম্নস্তর সব জায়গায় সমান থাকে । Pratt অনেকগুলো ব্লক পারদের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেন যে , ব্লকগুলোর আয়তন বিভিন্ন ছিল । কিন্তু ব্লকগুলোর নীচের অংশ সমানভাবে অবস্থান করে অর্থাৎ একই সমতলে অবস্থিত ছিল । এই প্রমাণ দ্বারা তিনি মত প্রকাশ করেন যে পর্বত ও সমতলভূমি একই পদার্থ দ্বারা গঠিত । সুতরাং তাঁর মতে , পর্বত ও সমতলভূমির নীচের অংশ একই সমতলে অবস্থিত ছিল কিন্তু ব্লকের আয়তনের পার্থক্যের জন্য পর্বত , মালভূমি ও সমভূমির উচ্চতার পার্থক্য লক্ষ করা যায় ।
অতএব ভূমির উচ্চতাকে ব্লকের সঙ্গে তুলনা করে ভূমির উচ্চতা ও ঘনত্ব সম্পর্কিত — এই মন্তব্যটি করা যায় – “ Bigger the column , lesser the density and smaller the column , greater the density ” . ?
- ওয়েগনারের মহিসরণ মতবাদটি সংক্ষেপে আলোচনা করো । বিভিন্ন প্রকার পাতসীমান্তে গঠিত ভূমিরূপগুলি সংক্ষেপে লেখো ।
Answer: ১৯১২ সালে ওয়েগনার মহিসরণ মতবাদটি প্রকাশ করেন । ওয়েগনারের মতে , পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলকে অতিক্রম করে বর্তমান অবস্থায় পৌছেছে ।
মতবাদের মূলকথা : ওয়েগনারের মতে , মেসোজোয়িক যুগের শুরুতে প্যানজিয়া বিভিন্ন খণ্ডে বিভক্ত হয়ে সরিত হতে থাকে । উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা পশ্চিম দিকে সঞ্চরিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগর গঠন করে । অস্ট্রেলিয়া পূর্বদিকে সরিত হয়ে ভারত মহাসাগর গঠন করে । মহাদেশগুলির সঞ্চরণ – এর পর অবশিষ্ট প্যানথালাসা প্রশান্ত মহাসাগর রূপে থেকে যায় ।
মহিসরণের কারণ :
1) বৈষম্যমূলক অভিকর্ষজ বল : পৃথিবী অভিগত গোলক হওয়ায় মহাদেশের উপর প্রযুক্ত অভিকর্ষজ বল এবং প্লাবতা বল একই সরলরেখায় কার্যকর হয় না । বরং প্লবতা বল নিরক্ষরেখার দিকে বেঁকে থাকে । ফলে মহাদেশগুলির উপর এক অতিরিক্ত বল ক্রিয়া করে । বৈষম্যমূলক অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে মহাদেশগুলি নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে সরিত হয় ।
2) জোয়ারি বল : সূর্য ও চন্দ্রের আকর্ষণে নদীতে বা সমুদ্রে জোয়ার হয় । ওয়েগনারের মতে , এই জোয়ারের ফলে এবং পৃথিবী ক্রমাগত পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করার ফলে মহাদেশগুলি পশ্চিম দিকে সঞ্চরিত হয় ।
মহিসরণের প্রমাণ :
1) জিগ – স – ফিট : কঠিন বস্তু ভেঙে যাওয়ার পর যেমন জোড়া লাগানো যায় তেমনি আটলান্টিক মহাসাগর এর বিপরীত উপকূলরেখার মধ্যে ওয়েগনার সেইরকম জোড়া লক্ষ করেন । এই সাদৃশ্যকে জিগ – স – ফিট বলে ।
2) জীবাশ্ম সংক্রান্ত প্রমাণ : পার্সিয়ান কার্বনিফেরাস যুগে সঞ্চিত গণ্ডশিলা সমন্বিত শিলাস্তরের মধ্যে মসপটেরিস নামক একপ্রকার ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ এর জীবাশ্ম পাওয়া যায় । ভারত , দক্ষিণ আমেরিকা , আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া এইপ্রকার জীবাশ্মের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায় ।
3) হিমবাহের অবস্থান : দক্ষিণ আফ্রিকা , আমেরিকা , অস্ট্রেলিয়া , ভারত , আন্টার্কটিকা প্রভৃতি স্থানে হিমবাহের প্রাচীন অধঃক্ষেপণের নিদর্শন পাওয়া গেছে ।
বিভিন্ন পাতসীমান্তে গঠিত ভূমিরূপ :
1) অভিসারী পাতসীমানায় গঠিত ভূমিরূপ : দুই বিপরীত দিক হতে পরস্পরের মুখোমুখি দু’টি পাত যখন গতিশীল হয় তখন তাকে অভিসারী পাতসীমানা বলে । উদ্ভূত ভূমিরূপগুলি হলো এভাবে ভঙ্গিল পর্বতমালা ও মহা অধোভঙ্গ গঠন , সমুদ্রখাত , আগ্নেয় দ্বীপমালা ইত্যাদি ।
2) প্রতিসারী পাতসীমান্তে গঠিত ভূমিরূপ : যখন দু’টি পাত স্থানচ্যুত হয়ে পরস্পরের বিপরীত দিকে , চলে যায়তখন তাকে প্রতিসারী পাতসীমানা বলে । এভাবে উদ্ভূত ভূমিরূপগুলি হলো শৈলশিরা , গ্রস্ত উপত্যকা ইত্যাদি । ”
3) সংরক্ষণশীল পাতসীমান্তে গঠিত ভূমিরূপ : অনেক সময় দু’টি পাত পরস্পরের বিপরীত দিকে চলমান হয় , তখন একে অপরের সঙ্গে বিনা সংঘর্ষে নিজেদের মধ্যে পাশাপাশি স্থান পরিবর্তন করে বিপরীত দিকে চলতে থাকে , এরকম পাতসীমানাকে সংরক্ষণশীল পাতসীমান্ত বলে ৷
এই পাতসীমান্তে যেহেতু কোনো সংঘাত ঘটে তাই এখানে কোনো ভূমির গঠন ও বিনাশ হয় না । এই পাতসীমান্তে মাঝারি থেকে বৃহৎ এলাকা জুড়ে চ্যুতিরেখা লক্ষ করা যায় ।
- পৃথিবীর উৎপত্তি সম্পর্কে কান্ট ও ল্যাপলাসের মতবাদটি সংক্ষেপে লেখো । মহাদেশীয় সঞ্জুরণের সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
Answer: ইম্যানুয়েল কান্টের নেবুলা বা গ্যাসীয় তত্ত্ব 1755 খ্রিস্টাব্দে জার্মান দার্শনিক ইম্যানুয়েল কান্ট এই মতবাদ উত্থাপন করেন । তাঁর ধারণায় সৌরজগৎ একসময় শীতল ও কঠিন পদার্থ , কণা ও গ্যাস দ্বারা পূর্ণ ছিল । এই পদার্থগুলি ছিল নিশ্চল । কণাগুলি পারস্পরিক সংঘাতে লিপ্ত হয় পারস্পরিক অভিকর্ষের আকর্ষণে । এই পারস্পরিক সংঘাতের ফলে নিশ্চল শীতল বস্তুর মধ্যে তাপ ও ঘর্ষণের সৃষ্টি হয় । এই উহ্ণ নীহারিকা বা পদার্থগুলি একটি অক্ষকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে । এই উত্তপ্ত নীহারিকা বা গ্যাসীয় পদার্থগুলির ঘূর্ণনবেগ বাড়তে বাড়তে এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছায় যে নিরক্ষীয় মণ্ডলে কেন্দ্রবহির্মুখী বলের ( centrifugal force ) প্রভাবে বলয়াকারে পদার্থের উৎক্ষেপণ ঘটে । এই বলয়ে পদার্থের ঘনীভবনের ( ring shape ) ফলে গ্রহের উৎপত্তি হয় । এইভাবে নেবুলা বা নীহারিকা থেকে এক একটি বলয় পৃথক হয়ে বেরিয়ে আসে এবং ঘনীভূত হয়ে এক একটি গ্রহের সৃষ্টি করে ।
এই মতবাদের ত্রুটি – 1) পদার্থের পারস্পরিক সংঘর্ষের ফলে ঘূর্ণনের সৃষ্টি হয় । এটি কৌণিক ভরবেগ ( angular momentum ) নীতির বিপক্ষে ।
2) নেবুলার গতিবেগ বৃদ্ধি পাবে যেহেতু নেবুলার আয়তন বৃদ্ধি পায় । কিন্তু সাধারণভাবে আয়তন ও আকৃতি বৃদ্ধি পেলে গতিবেগ কমে যায় ।
এই তত্ত্বের ভালো দিক – এইসকল ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও কান্টের মতবাদের একটা প্রশংসনীয় দিক হলো যে তিনিই প্রথম নীহারিকা বা নেবুলা নামক বস্তুপিণ্ড থেকে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ – উপগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে— সেই ধারণা ব্যক্ত করেন যা অতি আধুনিক , সরল ও গ্রহণযোগ্য ।
ল্যাপলাসের নেবুলা বা নীহারিকা ত্তত্ত্ব : বিখ্যাত ফরাসি গণিতবিদ পি.এ.ল্যাপলাস কান্টের নীহারিকা মতবাদের অনুরূপ আর এক মতবাদের অবতারণা করেন । ভরবেগের নিত্যতা সূত্র সম্পর্কিত অসুবিধা দূর করার জন্য যিনি ধরে নেন যে প্রাথমিক অবস্থায় নীহারিকা উত্তপ্ত ও ঘূর্ণায়মান ছিল । এরপর নীহারিকার শীতলীকরণ হতে থাকে । শীতলীকরণের সঙ্গে সঙ্গে সংকোচনও চলতে থাকে । পরিণামে এর ঘূর্ণনবেগ বাড়তে থাকে । এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে একসময়ে নীহারিকার ঘূর্ণনবেগ এমন হয় যে নিরক্ষীয় মণ্ডলে কেন্দ্রবহির্মুখী বল ও অভিকর্ষ বল পরস্পর সমান হয় । এরপর নীহারিকার আরও সংকোচন ঘটলে নীহারিকার উপরের অংশ বলয়াকারে কেন্দ্র অংশ থেকে বেরিয়ে আসে । যেহেতু নীহারিকার উপরের অংশ কেন্দ্রের অংশের তুলনায় দ্রুত ঠান্ডা ও সংকুচিত হয় । এইভাবে নীহারিকা থেকে বলয় খসে পড়ে এবং এগুলি জোড়া লেগে ঘনীভূত হয়ে একটা গ্রহের সৃষ্টি করে । উপরিউক্ত প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তির ফলে অন্যান্য গ্রহের সৃষ্টি হয়েছে । অবশিষ্ট কেন্দ্রীয় অংশ সূর্য হিসাবে অবস্থান করে ।
মহাদেশীয় সঞ্চরণ : জার্মান আবহবিদ আলফ্রেড ওয়েগনারের মতানুসারে ( 1912 ) বর্তমানের মহাদেশগুলি আজ থেকে বহু কোটি বছর পূর্বে অর্থাৎ কার্বনিফেরাস উপযুগে প্যান্থালাসা নামে এক অগভীর সাগর ছিল , পরবর্তীকালে জোয়ারের শক্তি ও বৈষম্যমূলক অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে প্যান্ট্রিয়া ভেঙে পৃথক পৃথক মহাদেশ ও মহাসাগরের সৃষ্টি করে ।
মহাদেশীয় সরণের কারণ :
1) জোয়ার শক্তি : চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে জোয়ারের ফলে শক্তি উৎপন্ন হয় তার প্রভাবে মহাদেশগুলি পশ্চিমদিকে সঞ্চরণ ঘটে অর্থাৎ বর্তমান উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা পশ্চিমদিকে সরে যায় ।
2) বৈষম্যমূলক অভিকর্ষজ বল :
প্রমাণ :
1) ভূপ্রকৃতিগত প্রমাণ : ওয়েগনারের মতানুসারে আটলান্টিক মহাসাগরের দুইদিকে অবস্থিত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব উপকূল এবং ইউরোপ ও আফ্রিকার পশ্চিম উপকূ ল করাতের দাঁতের ন্যায় জোড়া লাগানো যায় । এই সাদৃশ্যকে বলা হয় Jigsaw – fit .
2) উদ্ভিদ ও প্রাণীদের জীবাশ্মগত সাদৃশ্য : আফ্রিকা , ভারত ও দক্ষিণ আমেরিকার অভ্যন্তরভাগে কয়লা স্তরের মধ্যে বিভিন্ন উদ্ভিদের জীবাশ্মগুলির মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষ করা যায় ।
3) পর্বতের গঠনগত সাদৃশ্য : আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম ও পূর্ব উপকূলে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়ান ও হারসিনিয়ান পর্বতশ্রেণির গঠন ও বিন্যাস একই ধরনের ।
4) জলবায়ুগত সাদৃশ্য : কার্বনিফেরাস যুগের কয়লা থেকে বোঝা যায় ঐ সময় ঐ অঞ্চল নিরক্ষীয় অঞ্চলে আবার পরবর্তী সময়ে পাললিক শিলাস্তরের গঠন থেকে বোঝা যায় অঞ্চলটি শুষ্ক জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত ছিল ।
- বিগব্যাং তত্ত্ব কী ? ইম্যানুয়েল কান্টের গ্যাসীয় মতবাদ ও ল্যাপলাসের মতবাদটি আলোচনা করো ।
Answer: বিগব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ শব্দটি প্রাচীনতম একটি বিন্দুর অতিশক্তিশালী বিস্ফোরণকে বোঝায় যার মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল । আবার অন্যদিকে এই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও গঠন নিয়ে বিশ্বতত্ত্বে যে মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে তাকে বোঝায় । আজ থেকে প্রায় 1370 কোটি বছর আগে এই মহাবিশ্ব এক অতিঘন ও উত্তপ্ত বিন্দুর মতো অবস্থা থেকে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে । এই ধারণাকেই বিগব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব বলে ।
ইম্যানুয়েল কান্টের নেবুলা বা গ্যাসীয় তত্ত্ব : জার্মান দার্শনিক ইম্যানুয়েল কান্ট 1755 সালে গ্যাসীয় মতবাদটি উপস্থাপন করেন । কান্টের মতে , আজ যেখানে সৌরজগৎ অবস্থিত সেখানে বহু কোটি বছর আগে কঠিন পদার্থ কণায় পূর্ণ ছিল এবং কণাগুলি ছিল নিশ্চল ও শীতল । মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে কণাগুলি একে অপরের ওপর আছড়ে পড়তে থাকে । তার ফলে প্রচণ্ড তাপ ও গতির সৃষ্টি হয় । ফলস্বরূপ কণাগুলি সম্মিলিতভাবে ঘুরতে থাকে ।
ঘূর্ণন ক্রমশ বাড়তে থাকলে অতিউত্তপ্ত বিশাল আকারের গ্যাসীয় পিণ্ডটি নীহারিকা নামে পরিচিত হয় । প্রচণ্ড বেগে ঘুরতে থাকার জন্য নীহারিকার নিরক্ষীয় তল বরাবর বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রবহির্মুখী বলের উৎপত্তি হয় ।
মাধ্যাকর্ষণ বলের তুলনায় যখন কেন্দ্রাতিগ বল বেশি হয় তখন নীহারিকার প্রান্তসীমা থেকে গ্যাসীয় পদার্থ একটার পর একটা বলয়ের আকারে ছিটকে বেরিয়ে যায় এবং বলয়গুলি ঘনীভূত হয়ে গ্রহের সৃষ্টি করে ।
মতবাদের সুবিধা :
1) এই মতবাদটি সরল ও সাধারণের বোঝার উপযোগী ।
2) এই মতবাদটিতে সূর্য , গ্রহ ও উপগ্রহ কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে ।
3) এই মতবাদে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির উপযোগিতা এবং প্রয়োগ দেখানো হয়েছে ।
মতবাদের সমালোচনা :
1) গ্যাসীয় মেঘপুঞ্জ সৃষ্টিকারী নিশ্চল ও অতিশীতল কণার উৎপত্তির বিষয়ে কান্ট ব্যাখ্যা দেননি ।
2) কণাগুলির মধ্যে অভিকর্ষজ বলের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি ।
3) এই মতবাদ অনুসারে গ্রহ – উপগ্রহগুলি সৃষ্টি হলে তাদের সকলের আবর্তনের অভিমুখ একই দিকে হওয়া প্রয়োজন । কিন্তু বাস্তবে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে ।
ল্যাপলাসের নীহারিকা তত্ত্ব : ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী মারক্যুইস ডি ল্যাপলাস ১৭৯৬ সালে গ্রহ ও সূর্যের উৎপত্তি সম্পর্কে যে ধারণা ব্যক্ত করেন তাকে বলে নীহারিকা মতবাদ ।
তাঁর মতে , প্রাথমিক অবস্থায় নীহারিকা উত্তপ্ত ও ঘূর্ণায়মান ছিল । পরে নীহারিকার শীতলীভবন ও সংকোচন চলতে থাকলে এর ঘূর্ণনবেগ বাড়ে । ঘূর্ণনবেগ বাড়তে বাড়তে এমন এক পর্যায়ে আসে যে , ঘূর্ণায়মান নীহারিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলের কেন্দ্রাতিগ বল ও অভিকর্ষ বল সমান হয় ।
এর পর নীহারিকার আরও সংকোচন ঘটলে নিরক্ষীয় অঞ্চলের একটি অংশ সংকোচনের অন্তর্গত না হয়ে বলয়কারে ওজনশূন্য হয়ে মহাকাশে নিজ অবস্থানে থেকে যায় । এইভাবে নীহারিকা যতই শীতল ও সংকুচিত হতে থাকে ততই এর নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে একের পর এক বলয়রূপে বস্তুকণা বেরিয়ে আসতে থাকে এবং বলয়গুলি শীতল ও ঘনীভূত হয়ে গ্রহ ও উপগ্রহের উৎপত্তি ঘটে ।
মতবাদের সমালোচনা :
1) ল্যাপলাস যে নীহারিকার ঘূর্ণনবেগ থেকে গ্রহের সৃষ্টির কথা বলেছেন তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় । কেননা ঘূর্ণনবেগ এতই কম ছিল যে তা গ্রহ সৃষ্টির পক্ষে যথেষ্ট নয় ।
2) নীহারিকা থেকে বিচ্ছিন্ন বলয়ের ভর এতই কম হয় যে , সেটির অন্তর্নিহিত মহাকর্ষ বল দ্বারা পদার্থের কেন্দ্রীভবন ঘটিয়ে গ্রহে পরিণত হওয়া কখনোই সম্ভব নয় ।
3) অন্যান্য গ্রহ থেকে পৃথক বৈশিষ্ট্য সহ নেপচুন ও ইউরেনাস কীভাবে বিপরীত গতি নিয়ে আবর্তন করছে তার কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা ল্যাপলাস দেননি ।
- পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের গঠন বর্ণনা করো । পৃথিবীর উৎপত্তি সংক্রান্ত জেফ্রিসের জোয়ারি মতবাদটি সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
Answer: সবার ওপরে অবস্থিত হালকা ও কঠিন পদার্থ নিয়ে যে স্তরটি মূলত পৃথিবীকে শক্ত আবরণে মুড়ে রেখেছে , তাকে বলা হয় ক্রাস্ট বা ভূত্বক । পৃথিবীর ওপরের পৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত স্তরগুলিকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা—
1) শিলামণ্ডল ( Lithosphere )
2) গুরুমণ্ডল ( Mantle )
3) কেন্দ্রমণ্ডল ( Core )
1) শিলামণ্ডল ( Lithosphere ) : মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় ভূত্বকের সমষ্টিকে শিলামণ্ডল বা লিথোস্ফিয়ার বলে । মহাদেশীয় ভূত্বকটি মূলত হালকা গ্রানাইট জাতীয় শিলা দ্বারা গঠিত । যথা — সিলিকা ও অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা গঠিত যা সিয়াল নামে পরিচিত । আবার মহাসাগরীয় ভূত্বকটি ভারী ব্যাসল্ট শিলা দ্বারা গঠিত । যথা সিলিকা ও ম্যাগনেশিয়াম দ্বারা গঠিত যা সিমা নামে পরিচিত ।
2) গুমণ্ডল ( Mantle ) : ভূত্বকের নীচ থেকে কেন্দ্রমন্ডলের উপর পর্যন্ত প্রায় ২৭০০ কিমি বিস্তৃত একই ঘনত্বযুক্ত স্তরকে গুরুমণ্ডল বা Mantle বলে । গুরুমণ্ডলের দু’টি স্তর । যথা—
বহিঃগুরুমণ্ডল ও অন্তঃগুরুমণ্ডল ।
বহিঃগুরুমণ্ডল : গুরুমণ্ডলের 30-700 কিমি পর্যন্ত অংশে ক্রোমিয়াম ( Cr ) , লোহা ( Fe ) , সিলিকা ( Si ) ও ম্যাগনেশিয়ামের ( Mg ) প্রাধান্য দেখা যায় বলে একে ক্লোফেসিমা বলে ।
অস্তঃগুরুমণ্ডল : গুরুমণ্ডলের 700-2900 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত অংশে নিকেল ( Ni ) , লোহা ( Fe ) , সিলিকন ( Si ) ও ম্যাগনেশিয়ামের ( Mg ) আধিক্যের জন্যে একে নিফেসিমা বলে ।
কেন্দ্রমণ্ডল ( Core ) : গুরুমণ্ডলের নীচ থেকে প্রায় 2900-6370 কিমি গভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরটিকে বলা হয় কেন্দ্রমণ্ডল বা Core । বিজ্ঞানীরা এই স্তরটিকে দু’টি ভাগে ভাগ করেছেন । যথা— বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল ( বিস্তৃতি প্রায় 2900-5100 কিমি গভীরতা ) অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল ( বিস্তৃতি প্রায় 5100-6370 কিমি গভীরতা ) ।
জেফ্রিসের জোয়ারি মতবাদ : ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জেমস জিনস ও হ্যারল্ড জেফ্রিস 1918 সালে গ্রহকণিকা মতবাদের সংশোধিত রূপ হিসেবে জোয়ারি মতবাদের প্রবর্তন করেন ।
ব্যাখ্যা : জোয়ারি মতবাদে বলা হয়েছে , সূর্যের নিকট হঠাৎ আগত অন্য কোনো বড়ো নক্ষত্রের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে সূর্যে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয় এবং সূর্য থেকে পটলাকৃতির লম্বাটে গ্যাসীয় পিণ্ড নির্গত হয়ে ঐ নক্ষত্রের দিকে ধাবিত হয় , এইসময় নক্ষত্রটি দূরে সরে গেলে আকর্ষণ বল কমে যায় এবং গ্যাসীয় দণ্ডটির বাইরের দিকের প্রান্তীয় খণ্ডগুলো থেকে সূর্য থেকে দুরবর্তী ভাগে অবস্থিত ছোটো গ্রহ , উপগ্রহ , মধ্যভাগের স্ফীত অংশ থেকে বড়ো গ্রহ – উপগ্রহ এবং সূর্যাভিমুখী সরু অংশ থেকে ছোটো গ্রহ – উপগ্রহের সৃষ্টি হয় এবং এরা সূর্যের চারিদিকে ঘুরতে থাকে ।
সমালোচনা : জোয়ারি মতবাদ পৃথিবীর উৎপত্তির ক্ষেত্রে কিছুটা সদুত্তর প্রদান করলেও এই মতবাদের সমালোচনা করা হয়েছে নিম্নরূপে—
1) এই মতবাদ সঠিক হলে সূর্যের ঘূর্ণন বেগ গ্রহদের ঘূর্ণন বেগের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত অবস্থা পরিলক্ষিত হয় ।
2) গ্রহকণা মতবাদের মতোই এই মতবাদও ব্যাখ্যা করেনি সূর্যের একাংশ থেকে উৎপত্তি লাভকারী গ্রহ – উপগ্রহের মধ্যে কীভাবে 98 % কৌণিক ভরবেগ সঞ্চারিত হতে পারে ।
সার্থকতা :
1) কেন গ্রহ – উপগ্রহগুলো পর্যায়ক্রমে ছোটো – বড়ো ছোটো আকারের সমন্বয়ে অবস্থিত ?
2) সব গ্রহ কেন একই সমতলে থেকে সূর্যকে পরিক্রমণ করছে ?
- সমুদ্রবক্ষের সম্প্রসারণ তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করো । পাত সঞ্চালনের দু’টি কারণ লেখো ।
Answer: হ্যারি হ্যামন্ড হ্যাস ১৯৬০ সালে ‘ সমুদ্রবক্ষের বিস্তৃতি ‘ – র ধারণা ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬২ সালে ‘ History of Ocean Basin ‘ বইটিতে এই তত্ত্বটি প্রকাশ করেন ।
1950-60 সালের মধ্যে Marine Geologist- রা তিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্বন্ধে অবগত হন—
1) সামুদ্রিক ভূ – ত্বক মাত্র 6-7 কিমি গভীর এবং মহাদেশীয় ভূত্বক 30-40 কিমি গভীরতাবিশিষ্ট ।
2) ( মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা তাঁরা আবিষ্কার করেন । এই সামুদ্রিক শৈলশিরাগুলি | গভীর সমুদ্র সমভূমির উপর 2-3 কিমি উচ্চতাবিশিষ্ট ।
3) ( সমুদ্রবক্ষে ক্রিটোসাস যুগের প্রাচীন শিলার অনুপস্থিতি লক্ষ করা যায় ।
সমুদ্রবক্ষের সম্প্রসারণের কারণ : সমুদ্রবক্ষের সম্প্রসারণের প্রধান কারণ হলো পরিচলন স্রোত ও সঞ্চরণশীল পাত । পরিচলন স্রোতের ফলে সামুদ্রিক পাতগুলি | বিপরীত দিকে সরে যায় । ফলে সামুদ্রিক ভূত্বক সৃষ্টি হয় । অপরদিকে সঞ্চরণশীল পাতগুলি মহাসাগরের প্রান্তভাগে নিমজ্জি হয়ে সামুদ্রিক ভূত্বকের বিনাশ ঘটায় ।
প্রমাণ :
1) মহাসাগরের মাঝ বরাবার শিলাস্তরের বয়স তুলনামূলকভাবে মহাদেশের প্রান্তীয় অঞ্চলের শিলাস্তরের বয়সের থেকে নবীন হয়ে থাকে । এটা সমুদ্রতলদেশের বিস্তারের স্বপক্ষে প্রমাণ দেয় ।
2) মহাসাগরে শৈলশিরার উপস্থিতি এবং মহাদেশের প্রান্ত বরাবর ভূমিকম্পপ্রবর্ণ অঞ্চলের অবস্থান সমুদ্রতলদেশের বিস্তারের স্বপক্ষে প্রমাণ দেয় ।
পাত সঞ্চালনের দু’টি কারণ : পাত সঞ্চালনের কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে । যথা—
1) পরিচলন স্রোত : ভূকম্পন যন্ত্রের মাধ্যমে যেসব তথ্য তিনি সংগ্রহ করেছেন এবং তার মাধ্যমে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তা হলো , ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত অন্তঃস্থলে যে পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয় সেই স্রোেত ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত উঠে আসে । এই স্রোতের ফলে ভূগর্ভের তরল উয় পদার্থ উপরে উঠে আসে এবং স্রোতের নিম্নগতির সাথে শীতল ও কঠিন শিলাস্তর নীচে নিমজ্জিত হয় । এই স্রোতের দ্বারা পাতের গতি নিয়ন্ত্রিত হয় ।
2) আকর্ষণ পদ্ধতি : এই পদ্ধতিতে দু’টি পাত ভূমিকম্পের প্রভাবে পরস্পরের নিকটবর্তী হলে একটি অপরটির তলদেশে নিমজ্জিত হয় । এর ফলে পার্শ্ববর্তী পাতগুলিও সীমানার দিকে আকর্ষিত হয় এবং চলনের সৃষ্টি হয় ।
একাদশ শ্রেণীর সাজেশন ২০২৪ – Class 11 Suggestion 2024
আরোও দেখুন:-
Class 11 Bengali Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 English Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Geography Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 History Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Political Science Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Philosophy Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sociology Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sanskrit Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Education Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Physics Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Chemistry Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Biology Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Mathematics Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Suggestion 2024 Click here
পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। West Bengal Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion Download. WBCHSE Class 11 short question suggestion. WB Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF download. Class 11 Question Paper Geography. WB Class 11th Geography suggestion and important questions. Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF.
Get the WBCHSE Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF by winexam.in
West Bengal WB Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF prepared by expert subject teachers. WB Class 11th Geography Suggestion with 100% Common in the Examination.
Class 11th Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion
West Bengal Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion Download. WBCHSE Class 11 Prakritik Bhugol Niti Somuho short question suggestion. WB Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF download. Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Question Paper.
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | WB Class 11th Geography Suggestion
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল (Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho) প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর। একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | WB Class 11th Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion
প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির ভূগোল সাজেশন | West Bengal Class Eleven Geography Suggestion
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির বোর্ডের (WBCHSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একাদশ শ্রেণির ভূগোল বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির ভূগোল সাজেশন | West Bengal Class Eleven Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion । ভূগোল বিষয়ে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন আমাদের একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন বই ।
প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির ভূগোল সাজেশন | West Bengal Class 11th Suggestion
আমরা WBCHSE একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ভূগোল বিষয়ের – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির ভূগোল সাজেশন | West Bengal Class 11th Suggestion আলোচনা করেছি। আপনারা যারা এবছর একাদশ শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) | Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion with FREE PDF Download
Geography Class XI, Geography Class Eleven, WBCHSE, syllabus, একাদশ শ্রেণি ভূগোল, ক্লাস টোয়েলভ ভূগোল, একাদশ শ্রেণিরের ভূগোল, ভূগোল একাদশ শ্রেণির – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়), একাদশ শ্রেণী – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়), একাদশ শ্রেণির ভূগোল প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়), ক্লাস টেন প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়), Class 11 – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়), Class 11th প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়), Class XI প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়), ইংলিশ, একাদশ শ্রেণির ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Class 11 Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion, Class 11th Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion , Class 11 Suggestion , West Bengal Class 11 Board exam suggestion, West Bengal Class Eleven Board exam suggestion , WBCHSE , প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণির সাজেশান, একাদশ শ্রেণির সাজেশান – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) , একাদশ শ্রেণির সাজেশান – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) , একাদশ শ্রেণির সাজেশন প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়), একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশান , একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশান , একাদশ শ্রেণীর ভূগোল , প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Class 11 Suggestion Geography , একাদশ শ্রেণীর ভূগোল – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর ভূগোল – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF, একাদশ শ্রেণীর ভূগোল – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর ভূগোল – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF,একাদশ শ্রেণীর ভূগোল – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর ভূগোল – প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন | WB Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF, Class 11 Suggestion PDF , West Bengal Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF.
FILE INFO : WB Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF Download for FREE | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন বিনামূল্যে ডাউনলোড করুণ | প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর, ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নউত্তর
PDF Name : প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF
Price : FREE
Download Link1 : Click Here To Download
Download Link2 : Click Here To Download
Download Link3 : Click Here To Download
প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF
এই ” প্রাকৃতিক ভূগোলের নীতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন | WB Class 11 Geography Prakritik Bhugol Niti Somuho Suggestion PDF ” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।