গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন
Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF
গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন | Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF : গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ও অধ্যায় ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হল। এবার পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির বাংলা পরীক্ষায় বা একাদশ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় (Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF | West Bengal Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF | WBCHSE Board Class 11th Bengali Question and Answer with PDF file Download) এই প্রশ্নউত্তর ও সাজেশন খুব ইম্পর্টেন্ট । আপনারা যারা আগামী একাদশ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন | Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF | WBCHSE Board Class 11th Bengali Guru Suggestion Question and Answer খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়তে পারেন।
গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন/নোট (West Bengal Class 11th Bengali Question and Answer / WBCHSE Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF)
পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন (West Bengal Class 11th Bengali Suggestion PDF / Notes / Class 11 Bengali Guru Suggestion) গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – প্রশ্ন উত্তর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ), সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (Short Question and Answer), ব্যাখ্যাধর্মী বা রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (descriptive question and answer) এবং PDF ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে।
গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Guru
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন | Class 11 Bengali Guru Suggestion :
- ‘ গুরু ’ নাটকে গুরুর যে স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে তা আলোচনা করো ।
Answer: নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ ‘ গুরু ’ নাটকে শাস্ত্রাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন । মিথ্যা সংস্কার মানুষকে বিপথেই চালিত করে তা বোঝাতেই দাদাঠাকুর ওরফে ‘ গুরু ’ চরিত্রের আবির্ভাব । এই গুরুর কতকগুলি স্বরূপ চোখে পড়ে—
1) গুরু সবার কাছে পূজ্য । অচলায়তনের সকলে বিভিন্ন রকম সংস্কার , বাছবিচার মানতে অভ্যস্ত । কিন্তু গুরু সংস্কারমুক্ত । তিনি সংস্কার থেকে মানুষকে করে নতুন মুক্ত জগতে আনেন ।
2) শিক্ষার্থীরা গুরুকে ‘ অখণ্ড শক্তি ‘ হিসাবে জ্ঞান করে । গুরুর আবির্ভাব কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায় । তাই গুরুর জন্য তারা সিংহদ্বার সাজাতে তৎপর হয় ।
3) মহাপ্যক জ্ঞানবাদী । তাই অর্থহীন শাস্ত্রাচার আচার – বিচারকে অচলায়তনে প্রতিষ্ঠা করতে চান । একারণে ভাই পঞ্চক তার কাছে ‘ পাষণ্ড ‘ । তিনি দাদাঠাকুর আসার খবরে বেশ আতঙ্কে আছেন । কারণ আবার না নতুন করে ‘ উৎপাত ’ শুরু হয় ।
4) পশুক মুক্ত জীবনের পন্থী । গুরু তাঁর কাছে সহজ আনন্দের প্রতীক । গুরু প্রত্যেক মানুষকে সংস্কার মুক্ত করবেন , এটাই তার বিশ্বাস ।
5) নাট্যকার স্বয়ং গুরুর স্বরূপ প্রসঙ্গে বলেছেন , “ গুরু কি ভাঙিবার কথাতেই শেষ করিয়াছেন । গড়িবার কথা বলেন নাই ? ”
- “ উনি গেলে তোমাদের অচলায়তনের পাথরগুলো সুন্ধু নাচতে শুরু করবে … ” — বস্তা কে ? কাকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য ? বস্তার চরিত্র ব্যাখ্যা করো ।
Answer: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ গুরু ‘ নাটক থেকে প্রশ্নোত্ত উদ্ধৃতিটি গৃহীত । উদ্ধৃতিটির বস্তা হলেন প্রথম যুনক ।
পঞ্চককে উদ্দেশ্য করে তিনি এই মন্তব্য করেছেন ।
প্রথম যূনক যথার্থই বলেন , “ উনি আমাদের সব দলের শতদল পদ্ম ” । দাদাঠাকুরের মূল লক্ষ্য জীবনকে যথাযথ প্রতিষ্ঠা করা । অন্যদিকে , জীবন শাস্ত্র , আচরণ আর নিয়মের যাঁতাকলে । সুভদ্র উত্তরদিকের জানালা খুললে তাই ‘ অপরাধ ‘ বলে হিসাবে গণ্য করা হয় । যূনকদের মতে , দাদাঠাকুর আসা মানেই এখানে খোলা হাওয়া বাতাস প্রবেশের অধিকার উন্মুক্ত হবে । বন্ধ অচলায়তনের পাথরে জাগাবে প্রাণের আবেগ । পুঁথিগুলির মধ্যে বেজে উঠবে প্রাণের সুর । ভাঙবে প্রথার অচল প্রাচীর , ঢুকবে প্রাণের প্রবাহ ।
- “ ওকে অচলায়তনের ভূতে পেয়েছে ” —কার সম্বন্ধে , কে একথা বলেছে ? অচলায়তনের ভূত কী ? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কীভাবে সেই ভূতগ্রস্ত হয়েছে ?
Answer: নাট্যব্যক্তিত্ব রবীন্দ্রনাথ প্রণীত ‘ গুরু ‘ নাটকে পশুক সম্পর্কে তৃতীয় যুনক উক্ত কথা বলেছে ।
আলোচ্য নাটকে ‘ অচলায়তনের ভূত ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে সনাতন সংস্কার , নিয়ম – নীতিকে । এই সনাতন প্রথা বা সংস্কারই জন্ম দিয়েছে বৈষম্য এবং অস্পৃশ্যতাবোধ । আলোচ্য নাটকে রবীন্দ্রনাথ পঞ্চক চরিত্রটিকে ঘৃণধরা সনাতন সংস্কার থেকে বের করে এনে মুত্তপ্রাণের অগ্রদূত হিসেবে অঙ্কন করেছেন । অচলায়তনের বস্তাপচা রীতিনীতি , সংস্কারের সঙ্গে সে খাপ খায় না । অচলায়তনের পাথরের প্রাচীরকে ডিঙি য়ে সে অবাধ গতিতে এগিয়ে চলে মুক্ত পথের দিকে । তার গান শুনে যুনকরা মুগ্ধ হয় এবং তাকে জড়িয়ে ধরার বাসনা প্রকাশ করে । কিন্তু পঞ্চক বাধা দিয়ে বলেছে– “ আমাকে ছুঁস না । ” তাই যূনকদের মনে হয়েছে , অচলায়তনের ভূত পশ্যককেও পেয়ে জানিয়েছে । পণক সংস্কারমুক্ত প্রাণের সন্ধান করেছে ঠিকই কিন্তু সে অচলায়তনরেই অধিবাসী । এইজন্যই তার মাথায় অচলায়তেনর ভূত চেপে বসেছে ।
- “ আমাদের রাজার বিজয়রথ তার উপর দিয়ে চলবে ” —কে বলেছেন ? রাজা কে ? তিনি কী বিজয় করবেন ? কোথা দিয়ে যাবে তার বিজয়রথ ?
Answer: রবীন্দ্রনাথ বিরচিত ‘ গুরু ‘ নাটকে দাদাঠাকুর উক্ত কথা বলেছেন । চণ্ডক স্থবিরক হয়ে ওঠার জন্য বনের পোড়ো মন্দিরে ধ্যান করছিল । রাজা মন্থরগুপ্ত এই সংবাদ পেয়ে তাকে কেটে ফেলে । এই সংবাদ শুনে দাদাঠাকুর স্থবিরপত্তনের প্রাচীর ভেঙে দিয়ে তার উপরে রাজপথ নির্মাণ করতে চান । দাদাঠাকুর বলেন , এই পথেই রাজার বিজয়রথ চলবে । ‘ রাজা ‘ কথার অন্তর্নিহিত অর্থ সবকিছু সমান করার অধীশ্বর যিনি , তাঁর সম্পর্কেই দাদাঠাকুর রাজার প্রসঙ্গ এনেছেন ।
অচলায়তনে যে জীর্ণ সংস্কার , রীতিনীতি , অস্পৃশ্যতা , বৈষম্য তা রাজা বিজয় করবেন । তিনি যূনক ও দর্ভকদের সংস্কার এবং চলার পথের মিলন স্থাপন করবেন । যে সনাতন সংস্কার অচলায়তনের মানুষকে সংকীর্ণ গণ্ডিতে বন্ধ করে রেখেছিল , সেই সংস্কারকে দাদাঠাকুর ধুয়ে – মুছে সমান করে দিবেন । প্রথামুক্ত সংস্কারের চেতনায় অচলায়তনের অন্যসংস্কার ধ্বংস হয়ে যাবে । সেইসঙ্গে মানুষ রাজার বিজয় পতাকা মুক্তপথের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে । এইভাবে রাজার বিজয়রথ স্থবিরকদের ভাঙা প্রাচীরের উপর দিয়ে অসীমতার দিকে ছুটে চলবে ।
- “ ভাই তোরা সব কাজই করতে পাস ? ” কে , কাকে এ প্রশ্ন করেছে ? বক্তার এই প্রশ্নের কারণ কী ?
Answer: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ গুরু ’ নাটকে অচলায়তনের অধিবাসীদের মধ্যে স্বাধীন প্রাণের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত পঞ্চক কথোপকথনের ছলে তৃতীয় যূনককে আলোচ্য প্রশ্নটি করেছে ।
আলোচ্য নাটকে যুনকদের সঙ্গে সাক্ষাতে তাদের ব্যতিক্রমী জীবনাচরণ বিস্মিত করে পঞ্চককে , যূনকেরা চাষ করে , তার মধ্যে আবার উল্লেখযোগ্যভাবে কাঁকুড় আর খেসারি ডালের চাষ করে– যা নীতিবিরুদ্ধ । কিন্তু যূনকদের সঙ্গে কথোপকথনে অচলায়তনের অধিবাসী পঞ্চকের সেই শাস্ত্রীয় সংস্কার ধীরে ধীরে ভেঙ্গে পড়ে । ক্ষৌরকর্মের সময় নাপিতের ভুলে গাল কেটে রক্ত পড়লেও যে তাদের সেই দিন খেয়া নৌকায় উঠতে কোনো নিষেধ থাকে না— তৃতীয় যূনকের মুখে এই কথা শুনে সে চমকে ওঠে । যূনকদের লোহা পেটানো তাকে আরও বিস্মিত করে । আর এই বিস্ময় সীমাহীন হয়ে ওঠে যখন পঞ্চক জানতে পারে যে , যূনকরা , কেয়ূরী , মরীচী , মহাশীতবতী বা উন্নীয়বিজয় কোনো মন্ত্রই জানতে পারে না । যে পঞ্চক অচলায়তনের ভিতরে ছিল প্রথা আর সংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক , সেই পঞ্চকই কিছুটা মানসিক জড়তা সত্ত্বেও যূনকদের মধ্যে খুঁজে পায় তাদের সংস্কার – মুক্ত আদর্শের বিকাশ । ফলে এক প্রবল আনন্দের উচ্ছ্বাস তৈরি হয় তার মনে । জীবনবোধের সেই সাদৃশ্যের জায়গা থেকেই পক প্রশ্নোঘৃত মন্তব্যটি করে ।
- “ পৃথিবীতে জন্মেছি , পৃথিবীকে সেটা খুব কষে বুঝিয়ে দিয়ে তবে ছাড়ি । ” কে , কার উদ্দেশে এই উক্তি করেছে ? উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও । অথবা , “ পৃথিবীতে জন্মেছি , পৃথিবীকে সেটা খুব কষে বুঝিয়ে দিয়ে তবে ছাড়ি । ” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো ।
Answer: প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ গুরু ’ নাটকে কর্মপাগল যুনকরা পঞ্চকের উদ্দেশে আলোচ্য উক্তিটি করেছে ।
রবীন্দ্রনাথ ‘ গুরু ’ নাটকে পুথিসর্বস্ব জীবনভাবনার তীব্র সমালোচনা করেছেন । শাস্ত্র – আচার কখনোই জীবনের শেষকথা নয় । কিন্তু নাটকে উল্লেখিত ‘ অচলায়তন ‘ – এ শাস্ত্রই একমাত্র পালনীয় বিষয় । শ্রমজীবী যূনকরা অচলায়তনের নিয়মকে পাশ কাটিয়ে চলে । কারণ তারা না জানে মন্ত্র , না মানে গুরুকে , দাদাঠাকুরই তাদের বিশ্বাসের একমাত্র পাত্র । মন্ত্র উচ্চারণের পরিবর্তে তারা কাজ করার মধ্যে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পায় । চাষাবাদের মধ্যেই তারা জীবনের ছন্দ খুঁজে পায় খুঁজে পায় প্রাণের ভাষা ও সুর । কাজের মধ্যেই মন হয় পূর্ণ , আত্মা হয় মুক্ত । তাই রোদ বা বৃষ্টিতে থেমে না থেকে যূনকরা সহাস্যবদনে কাজ করে চলে । কাঁকুড় বা খেসারি ডালের চাষ যা অচলায়তনের বহির্ভূত , এই চাষ করতেও তারা পিছ – পা হয় না । নিয়মকে বলিদান দিয়ে তারা সর্বদা কর্মতৎপর থাকে । লোহার কাজে যুনকরা অসংকোচে অতিসহজেই অংশগ্রহণ করে , খেয়া নৌকা পেরোতেও তারা বিন্দুমাত্র ভয় পায় না । আসলে যূনকরা অচলায়তনের সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে বাধাহীন মুক্ত ক্ষেত্রে জীবনের সার্থকতা খুঁজতে চেয়েছে । গণ্ডির মধ্যে আত্মা বিকশিত হতে পারে না , তাকে নিয়মের বাহুপাশ থেকে বেরিয়ে আসতে হয় ৷ অচলায়তনের বিপরীতে যূনকদের কর্মমুখর জীবনভাবনা প্রকৃতপক্ষে আত্মপ্রতিষ্ঠার চিরন্তন বার্তা বহন করেছে । ”
- পঞ্চকদাদা বলেন অচলায়তনে তাঁকে কোথাও ধরবে না । ” বক্তা কে ? ‘ তাকে বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ? “ তাকে কোথাও ধরবে না ‘ পঞ্চকদাদার এমন মনে হয়েছে কেন ? অথবা , “ পঞ্চকদাদা বলেন অচলায়তনে তাকে কোথাও ধরবে না । ” কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি ? উক্তিটির তাৎপর্য আলোচনা করো ।
Answer: রবীন্দ্রনাথের ‘ গুরু ‘ নাটক থেকে সংকলিত অচলায়তনের প্রথম বালক আলোচ্য অংশটির বস্তা ।
প্রশ্নোত্ত অংশে ‘ তাকে ’ বলতে গুরুর কথা বলা হয়েছে ।
নাটকে দেখা যায় গুরুর আগমনে সংবাদে প্রথাবদ্ধ অচলায়তনের মধ্যে এক অভূতপূর্ব চাঞ্চল্য । এর আগে গুরু সম্পর্কে বালকদের কোনো সাক্ষাৎ ধারণা ছিল না । গুরু সম্পর্কে বালকদের অধীর আগ্রহ কৌতূহল প্রসঙ্গেই আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে ।
‘ গুরু ‘ নাটক প্রথাসর্বস্ব নিয়মের ঊর্ধ্বেন্দ্ব চরিত্রের মধ্য দিয়ে এই ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে । গুরু গণ্ডিবদ্ধ অচলায়তনের বাইরে এক মুক্ত প্রাণের বার্তাবাহক । তিনি সংস্কারের ঊর্দ্ধে বিচরণকারী যেন এক মুক্ত বিহঙ্গ । তাই অচলায়তনের নিয়মনিষ্ঠার ঘেরাটোপে তিনি আটকে থাকতে পারেন না । হাই না তোলা বা উত্তরের জানালা না খোলা ইত্যাদি কঠোর নিয়মের অচলায়তনে তাঁর পক্ষে তিলধারণ করা সম্ভব নয় । তাঁকে অচলায়তনে রাখতে হলে প্রচলিত নিয়মনীতিকে উপড়ে ফেলতে হবে । সংস্কারের ছাইপাশ থেকে বেরিয়ে না আসলে আত্মা পূর্ণতা পেতে পারে না । গুরু মুক্ত আত্মার প্রতীক । তিনি ভেদবুদ্ধিহীন , রীতিনীতির ঊর্ধ্বে , তার যাত্রা সর্বত্র । তাই পঞ্চক মনে করেছে তিনি অচলায়তনের সংকীর্ণতার মধ্যে কোথাও নিজেকে ধারণ করতে পারবেন না ।
- “ ও আজ যেখানে বসেছে সেখানে তোমাদের তলোয়ার পৌঁচ্ছায় না । ” কার সম্পর্কে , কে একথা বলেছেন ? এই বক্তব্যের তাৎপর্য কী ? অথবা , “ ও আজ যেখানে বসেছে সেখানে তোমাদের তলোয়ার পৌঁচ্ছায় না । ” সেখানে তলোয়ার না পৌঁছানোর কারণ কী ?
Answer: রবীন্দ্রনাথ বিরচিত ‘ গুরু ’ নাটকে প্রশ্নোক্ত কথাগুলি দাদাঠাকুর মহাপক সম্পর্কে বলেছেন ।
অচলায়তনের প্রথাসর্বস্ব ঘুণধরা সংস্কারকে ধুয়ে – মুছে সাফ করে সেখানে মুক্ত আত্মার বাণী প্রতিষ্ঠা করতেই গুরুর আগমন হয় । তিনি কর্মচঞ্চল যূনকদের সঙ্গে নিয়ে অচলায়তনের জীর্ণ আগল ভেঙে ফেলেন । ফটক খুলে হাজির হন মহাপঞ্চকের সামনে । ইতিপূর্বে মহাপ্যক গুরুকে এমন বেশ ধারণ করতে দেখেননি । গুরু এসে তাঁর স্থবির ভাবনাকে সজোরে কুঠারাঘাত করলেন । গুরু মনে করেছিলেন এবার মহাপক তাকে চিনতে পারবে , কিন্তু তা হয়নি । আসলে মহাপঞকের অস্থিমজ্জায় ছিল সনাতন সংস্কার । এই সংস্কারের বাইরের কোনো কিছু তার চেতনার অতীত । তার আদর্শ উল্কার মতো খসে পড়ছে দেখেও সে নিজেকে জীবনের আলো থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে । তার স্পষ্ট উচচারণ— “ পাথরের প্রাচীর তোমরা ভাঙতে পার …. তোমাদের আলো লেশ মাত্র আমাকে স্পর্শ করতে দেব না । ” এমন কথায় যুনকরা মর্মাহত হয় এবং ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বন্দি করার দাবি জানায় । কিন্তু মহাপ্যক নিজের আদর্শের প্রতি এতটাই দৃঢ় , এতটাই অটল যে তাকে শাস্তি দেওয়া তো দূর অস্ত স্পর্শ করাও অসম্ভব — এই হলো দাদাঠাকুরের অভিমত ।
- “ আমরা প্রাণ দিয়ে ঘর বাঁধি , থাকি তার মাঝেই । ” এই গান কারা গেয়েছে ? প্রাণ দিয়ে ঘর বাঁধার উদ্যম তাদের গানে কীভাবে ভাষা পেয়েছে ? অথবা , “ আমরা প্রাণ দিয়ে ঘর বাঁধি , থাকি তার মাঝেই । ” এই গান কারা গেয়েছে ? গানটির তাৎপর্য আলোচনা করো ।
Answer: রবীন্দ্রনাথ প্রণীত ‘ গুরু ’ নাটকে কর্মচঞ্চল যূনকরা উদ্ধৃত গানটি গেয়েছে । পঞ্চক মুক্ত জীবনবোধের প্রতীক হিসাবে নাটকে এসেছে । অচলায়তন নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঞ্চক একটি মূর্তিমান বিদ্রোহ অচলায়তনের সব পুঁথিপত্র ফেলে , গুরুর জন্য অপেক্ষা করছে পঞ্চক । অচলায়তনে গান একেবারেই নিষিদ্ধ কিন্তু নিয়ম ভাঙার হাতিয়ার হিসাবে পঞ্চক গানকেই বেছে নেয় । বালক সুভদ্র উত্তরদিকের জানালা খুলে ফেলার অপরাধে ভীত হলে পঞ্চকই তাকে সাহস দেয় । মহাময়ূরী দেবীকেও সে ভয় পায় না । নাটকের শেষদিকে সুভদ্রকে সঙ্গে নিয়ে সে – ই অচলায়নের বদ্ধ জানালাগুলো খুলে দেয় ।
অচলায়তনে পঞ্চক একটি ব্যতিক্রমী চরিত্র । অন্যরা মন্ত্র ও নিয়মের দাসত্ব করলেও পঞ্চক সেখানে যুক্তিবাদের জয় ঘোষণা করে । পঞ্চকের প্রাণশক্তিরও তুলনা নেই । সে গান মুখস্থ করলেও মন্ত্র মুখস্থ করে না । সে শাশ্বত সত্যের সন্ধানে মগ্ন । কৃত্রিম বিদ্যার ভার সে বহন করতে অনিচ্ছুক । আসলে অচলায়তনে পঞ্চকই হলো মুক্ত প্রাণের প্রতীক । যুক্তিবাদী মনন তাকে সংস্কারমুক্ত মানুষে পরিণত করেছে ।
একাদশ শ্রেণীর সাজেশন ২০২৪ – Class 11 Suggestion 2024
আরোও দেখুন:-
Class 11 Bengali Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 English Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Geography Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 History Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Political Science Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Philosophy Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sociology Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sanskrit Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Education Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Physics Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Chemistry Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Biology Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Mathematics Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Suggestion 2024 Click here
পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। West Bengal Class 11 Bengali Guru Suggestion Download. WBCHSE Class 11 short question suggestion. WB Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF download. Class 11 Question Paper Bengali. WB Class 11th Bengali suggestion and important questions. Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF.
Get the WBCHSE Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF by winexam.in
West Bengal WB Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF prepared by expert subject teachers. WB Class 11th Bengali Suggestion with 100% Common in the Examination.
Class 11th Bengali Guru Suggestion
West Bengal Class 11 Bengali Guru Suggestion Download. WBCHSE Class 11 Guru short question suggestion. WB Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF download. Class 11 Bengali Guru Question Paper.
একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – প্রশ্ন উত্তর | WB Class 11th Bengali Suggestion
একাদশ শ্রেণীর বাংলা (Class 11 Bengali Guru) গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – প্রশ্ন উত্তর। একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – প্রশ্ন উত্তর | WB Class 11th Bengali Guru Suggestion
গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন | West Bengal Class Eleven Bengali Suggestion
একাদশ শ্রেণীর বাংলা পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির বোর্ডের (WBCHSE) সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়টির সমস্ত প্রশ্নোত্তর। সামনেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা, তার আগে winexam.in আপনার সুবিধার্থে নিয়ে এল গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন | West Bengal Class Eleven Bengali Guru Suggestion । বাংলা বিষয়ে ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই পড়ুন আমাদের একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন বই ।
গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন | West Bengal Class 11th Suggestion
আমরা WBCHSE একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন | West Bengal Class 11th Suggestion আলোচনা করেছি। আপনারা যারা এবছর একাদশ শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা কিছু প্রশ্ন সাজেশন আকারে দিয়েছি. এই প্রশ্নগুলি পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা তে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি. তাই আমরা আশা করছি একাদশ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার সাজেশন কমন এই প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আপনাদের মার্কস বেশি আসার চান্স থাকবে।
একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Class 11 Bengali Guru Suggestion with FREE PDF Download
Bengali Class XI, Bengali Class Eleven, WBCHSE, syllabus, একাদশ শ্রেণি বাংলা, ক্লাস টোয়েলভ বাংলা, একাদশ শ্রেণিরের বাংলা, বাংলা একাদশ শ্রেণির – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, একাদশ শ্রেণী – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, একাদশ শ্রেণির বাংলা গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্লাস টেন গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, Class 11 – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, Class 11th গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, Class XI গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইংলিশ, একাদশ শ্রেণির ইংলিশ, পরীক্ষা প্রস্তুতি, রেল, গ্রুপ ডি, এস এস সি, পি, এস, সি, সি এস সি, ডব্লু বি সি এস, নেট, সেট, চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি, Class 11 Guru Suggestion, Class 11th Bengali Guru Suggestion , Class 11 Suggestion , West Bengal Class 11 Board exam suggestion, West Bengal Class Eleven Board exam suggestion , WBCHSE , একাদশ শ্রেণির সাজেশান, একাদশ শ্রেণির সাজেশান , একাদশ শ্রেণির সাজেশান , একাদশ শ্রেণির সাজেশন, একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশান , একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশান , একাদশ শ্রেণীর বাংলা , একাদশ শ্রেণীর বাংলা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, Class 11 Suggestion Bengali , একাদশ শ্রেণীর বাংলা – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – সাজেশন | WB Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর বাংলা – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – সাজেশন | WB Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF, একাদশ শ্রেণীর বাংলা – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – সাজেশন | একাদশ শ্রেণীর বাংলা – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – সাজেশন | WB Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর বাংলা – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – সাজেশন | WB Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF,একাদশ শ্রেণীর বাংলা – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – সাজেশন | WB Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF PDF, একাদশ শ্রেণীর বাংলা – গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – সাজেশন | WB Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF, Class 11 Suggestion PDF , West Bengal Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF.
FILE INFO : WB Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF Download for FREE | একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন বিনামূল্যে ডাউনলোড করুণ | গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – MCQ প্রশ্নোত্তর, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর, ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নউত্তর
PDF Name : গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন | Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF
Price : FREE
Download Link1 : Click Here To Download
Download Link2 : Click Here To Download
Download Link3 : Click Here To Download
গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন | Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF
এই ” গুরু (পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন | WB Class 11 Bengali Guru Suggestion PDF ” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আরোও বিভিন্ন স্কুল বোর্ড পরীক্ষা, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার সাজেশন, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (All Exam Guide Suggestion, MCQ Type, Short, Descriptive Question and answer), প্রতিদিন নতুন নতুন চাকরির খবর (Job News) জানতে এবং সমস্ত পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড (All Exam Admit Card Download) করতে winexam.in ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।